|
|
|
|
নজর ঘোরানোর চেষ্টা, বলল কংগ্রেস |
কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে মুখর তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
পশ্চিমবঙ্গের প্রতি আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগে সংসদ চত্বরে ও সংসদে সরব হল তৃণমূল। কেন্দ্রীয় সরকারের দুর্নীতি থেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতি বঞ্চনা— এই সমস্ত বিষয় নিয়ে চলতি সংসদ অধিবেশনে সুর চড়ানোর পরিকল্পনা ছিল তৃণমূলের। গত কাল সংসদে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেনস্থার প্রতিবাদে সরব হয় দল। আজ কার্যত সেই একই চিত্রের পুনারবৃত্তি হল সংসদে।
রাজ্যের ন্যায্য পাওনার দাবিতে আজ সকাল থেকেই প্রথমে সংসদ চত্বরে গাঁধী মূর্তির সামনে, তার পর দফায় দফায় লোকসভার ভিতরে বিক্ষোভ দেখিয়ে অধিবেশন মুলতুবি করে দেন তৃণমূল সাংসদরা। ‘কেন্দ্রের নীতির কারণে আজ বাংলা ক্ষুধার্ত’ এই ধাঁচের ব্যানার-পোস্টার নিয়ে তৃণমূল সাংসদরা যখন বিক্ষোভ অবস্থান চালাচ্ছেন, তখনই তাঁদের কটাক্ষ করে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব দাবি করেন, ভুঁইফোঁড় সংস্থার কারণে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। সে দিক থেকে রাজ্যবাসীর নজর ঘোরাতেই সংসদে গণ্ডগোলের রাস্তা বেছে নিয়েছে তারা। |
|
সংসদ চত্বরে তৃণমূলের বিক্ষোভ। মঙ্গলবারও। ছবি: রমাকান্ত কুশওয়াহা। |
রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আর্থিক বঞ্চনার প্রতিবাদে বারবার পথে নেমেছেন মমতা ও তাঁর দল। এর আগে সংসদেও বারবার এ নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায় বা মুকুল রায়দের। দলের বক্তব্য, ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত দু’বছর ধরে রাজ্যের জন্য আর্থিক সাহায্য চেয়ে হতাশ হতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। এই পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে বিহারের জন্য বিশেষ আর্থিক সাহায্য বরাদ্দ করার ঘটনা তৃণমূল নেতৃত্বের ক্ষোভে ইন্ধন জাগায়। খোদ মমতা ফেসবুকে প্রশ্ন তোলেন, সমর্থনের জন্য কেন্দ্রের যাকে প্রয়োজন তাকে সাহায্য করা কি অগণতান্ত্রিক বা অনৈতিক নয়? আজ সেই সূত্র ধরেই সংসদের ভিতরে ও বাইরে মুখর হন তৃণমূলের সাংসদেরা।
এ দিন সকাল দশটা নাগাদ গাঁধী মূর্তির সামনে পোস্টার-ব্যানার নিয়ে পৌঁছে যান সাংসদরা। তৃণমূল সাংসদদের অভিযোগ, ইউপিএ সরকার বাংলার উপর কার্যত অর্থনৈতিক অবরোধ জারি রেখে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। গত কালের মতোও এ দিন বিক্ষোভের রেশ গড়ায় লোকসভা পর্যন্ত। বেলা এগারোটায় অধিবেশন শুরু হতেই কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সুচারু হালদার, সুব্রত বক্সিরা-সহ তৃণমূল সাংসদরা ওয়েলে নেমে এসে বিক্ষোভ দেখান। ফলে বাধ্য হয়ে অধিবেশন মুলতুবি করে দিতে হয়। বারোটা নাগাদ অধিবেশেন চালু হলে ফের একই চিত্র লোকসভাতে। বাধ্য হয়ে অধিবেশন মুলতুবি করে দেন স্পিকার।
পরে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেন্দ্র বিহারকে সাহায্য করতেই পারে। তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু একটি রাজ্যকে সাহায্য করা হবে অথচ প্রতিবেশী রাজ্য সাহায্য পাবে না এই একচোখামি সমর্থন করা যায় না। তাই দল প্রতিবাদের রাস্তা বেছে নিয়েছে।” তৃণমূলের পর পর দু’দিনের ওই বিক্ষোভকে আজ সমালোচনা করতে ছাড়েননি প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলের লোকসভা সাংসদ মান্নান হোসেন আজ অভিযোগ করেন, “ভুঁইফোঁড় সংস্থাগুলির সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের যোগসাজশ এখন বাংলার মানুষের সামনে চলে এসেছে। এই অস্বস্তি এড়াতে দিল্লিতে হইচই করে নজর ঘোরানোর পরিকল্পনা নিয়েছে তৃণমূল।” |
|
|
|
|
|