|
|
|
|
কেন্দ্র দুর্বল, বলছে বিজেপি |
চিনা সেনার প্রবেশ নিয়ে উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ভারত সীমান্তে চিনা সেনার অনুপ্রবেশকে নিয়ে তৈরি হওয়া উত্তেজনা কমাতে সক্রিয় হল নয়াদিল্লি। চিনা সেনা লাদাখের দৌলতবেগ সেক্টরে ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ১০ কিলোমিটার ভিতরে ঢুকে অস্থায়ী আস্তানা তৈরি করার পর নড়েচড়ে বসেছে সাউথ ব্লক। চলছে ধারাবাহিক ফ্ল্যাগ মিটিং। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও জট কাটেনি। কিন্তু এই নিয়ে টানাপেড়েন যাতে বাড়াবাড়ি পর্যায়ে না-যায়, সে জন্য সব রকম চেষ্টা করছে ভারত।
বিদেশমন্ত্রী সলমন খুরশিদ আজ জানিয়েছেন, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) নিয়ে মতপার্থক্যের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। এমনটা অতীতেও ঘটেছে। আশা করা হচ্ছে শান্তিপূর্ণ ভাবেই বিষয়টির সমাধান হবে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আকবরুদ্দিন জানিয়েছেন, “এটা একটি সেক্টরের স্থানীয় ঘটনা। সেখানে এলএসি-র ধারণা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। ১৯৯৬ সাল থেকেই আমরা বলে আসছি দু’দেশের মধ্যে এই বিষয়টি স্পষ্ট করে, এলএসি-র সঠিক অবস্থান নির্ধারণ করে নেওয়া হোক।”
এর আগেও একাধিক বার সীমা লঙ্ঘন করেছে বেজিং। লাদাখে চিনের হেলিকপ্টার এসে খাবারের প্যাকেট ফেলে গিয়েছে, হিমাচল প্রদেশে ঢুকে পড়েছে চিনা সেনা, অরুণাচলপ্রদেশে এসে সে দেশের পতাকা পুঁতে দেওয়া হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের বক্তব্য, অতীতে বারবার এই ধরনের ঘটনার শান্তিপূর্ণ সমাধান করা সম্ভব হয়েছে। নয়াদিল্লি আশাবাদী এ বারেও তা করা যাবে। বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, “এই ঘটনার জন্য ভারত-চিন সম্পর্কের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। জাতীয় স্বার্থে যতটুকু করা সম্ভব, আমরা করছি।”
তবে চিন নিয়ে সংসদের ভিতরে ও বাইরে কঠোর অবস্থান নিয়েছে বিজেপি এমনকী সরকারের সর্থক দল সমাজবাদী পার্টিও। বিজেপি-র মুরলীমনোহর জোশী, যশবন্ত সিন্হাদের বক্তব্য, এ ব্যাপারে আরও কড়া অবস্থান নেওয়া উচিত মনমোহন সরকারের। চিনও জানে দিল্লিতে এখন একটি দুর্বল সরকার রয়েছে। মুলায়ম সিংহ যাদবও সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, “চিন ভারতের সবচেয়ে বড় শত্রু। সরকারের দুর্বল বিদেশনীতির কারণে চিন ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে নিজেদের ঘাঁটি গেড়েছে। ব্রহ্মপুত্রে তিনটি বাঁধ তৈরি করা হয়েছে। যাতে উত্তরপূর্ব ভারতের নদীগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ সব জেনেও নীরব রয়েছে কেন্দ্র।” |
|
|
|
|
|