শিক্ষক-কর্মীদের সতর্ক করল পরিচালন সমিতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাড়ুই |
একদিন আগেই স্কুলে দেরিতে আসার অভিযোগ তুলে শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের একাংশকে স্কুলে ঢুকতে বাধা দিয়েছিলেন পাড়ুই থানার কেশাইপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের একাংশ। বিক্ষোভ দেখিয়ে ওই শিক্ষক-কর্মীদের কাছে দেরিতে আসার জবাবদিহি চেয়েছিলেন ওই অভিভাবকেরা। জট কাটাতে মঙ্গলবার সমস্ত পক্ষকে নিয়ে জরুরি বৈঠক করল স্কুল পরিচালন সমিতি। নির্ধারিত সময়ে স্কুলে না ঢোকা শিক্ষক-কর্মীদের সতর্ক করার পাশাপাশি সমিতি সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোনও অবস্থাতেই স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ রাখা যাবে না।
স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ওই গ্রামের কিছু অভিভাবক সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ স্কুলে যান। ১০টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে স্কুলের সমস্ত শিক্ষক ও কর্মীদের হাজির হয়ে যাওয়ার কথা। স্কুলে প্রার্থনাও শুরু হয়ে যায় নির্ধারিত ১০টা ৫০ মিনিটে। অভিভাবকদের অভিযোগ, ওই সময়ে স্কূলে মাত্র তিন জন শিক্ষকই হাজির ছিলেন। এর পরে এক-এক করে বাকিরা স্কুলে পৌঁছন। ওই শিক্ষকদে আর স্কুলে ঢুকতে দেননি অভিভাবকদের ওই অংশ। কেশাইপুর গ্রামের বাসিন্দা সুমন মণ্ডল, প্রবীর ঘোষ, মনোরঞ্জন মণ্ডলদের দাবি, “শিক্ষাবর্ষের অধিকাংশ দিন স্কুলের শিক্ষক-কর্মীরা যে যার খুশি মতো আসেন। তাঁরা সরকার নির্ধারিত নিয়ম কানুনের ধার ধারেন না। ফলে এই স্কুলের পঠনপাঠন শিকেয় উঠেছে। তাই সোমবার তাঁদের আটকে দেওয়া হয়েছিল।” আটকে রেখে খানিকক্ষণ বিক্ষোভ দেখানোর পরে অবশ্য তাঁদের ক্লাস নিতে দেওয়া হয় বলে ওই অভিভাবকেরা জানিয়েছেন।
অভিভাবকদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক দীপক আচার্য বলেন, “স্কুলের কাজে সরকারি দফতরে গেলে দেরি তো হবেই। আর সব শিক্ষক হামেশা দেরিতে আসেন সে কথাও ঠিক নয়। আমরা স্কুল পরিচালন সমিতিকে বিষয়টি জানিয়েছি।” এ দিকে স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি উদয় সাহা বলেন, “ওই দিনের ঘটনার জেরে মঙ্গলবার বিকেলে সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সবার উপস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, স্কুলে কোনও পরিস্থিতিতেই পঠনপাঠন বন্ধ রাখা যাবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শিক্ষক-কর্মীদের স্কুলে হাজির হয়ে যেতে বলা হয়েছে।” তাঁর দাবি, “দু’পক্ষের বোঝাপড়ার অভাবে এমনটা হয়েছে। আগামী দিনে যাতে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সে বিষয়ে সব পক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে।” |