দুর্নীতির অভিযোগে মঙ্গলবার কালনা থানার পুলিশ বাঘনাপাড়া পঞ্চায়েতের সলগড়িয়া কৃষি সমবায়ের প্রাক্তন ম্যানেজারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মন্তেশ্বর থেকে ধৃত ওই ব্যক্তির নাম চঞ্চল মুখোপাধ্যায়। বর্তমানে তিনি বর্ধমান সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের মন্তেশ্বর শাখায় সুপারভাইজার পদে কর্মরত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সলগড়িয়া, কেশবপুর, চাঁদপুর, খাসপুকুর, মাজিদা এবং ফড়িংগাছি গ্রাম নিয়ে তৈরি এই সমবায়ে ২০০২ সালে ১৯ হাজার টাকার গরমিল ধরা পড়ে। পরে ক্রমশ গরমিলের পরিমাণ বাড়তে থাকে। ২০১০ সালে তা ১৪ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যায়। ২০১২ সালে এই সমবায়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। নতুন বোর্ড গরমিলের অভিযোগ পেয়ে বিশেষ অডিট করায়। ২৬ ফেব্রুয়ারি লিখিত অভিযোগে পুলিশকে বোর্ড জানায়, অডিটে ১৪ লক্ষ ৩০ হাজার ৮১৫ টাকার গরমিল ধরা পড়েছে। এ ব্যাপারে পুরনো বোর্ডের সম্পাদক, ম্যানেজার এবং কোষাধ্যক্ষের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তৃণমূলের বাঘনাপাড়া অঞ্চল সভাপতি সমীর মণ্ডলের দাবি, “বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গ্রাহকদের সই জাল করে তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।” ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
|
তালা ভেঙে চুরি হল কালনা ১ ব্লকের সুলতানপুর নিম্নবুনিয়াদি বিদ্যালয়ে। মঙ্গলবার সকালে শিক্ষকেরা দেখেন, স্কুলে ঢোকার মুখে দরজার তালা ভাঙা। অফিসঘরের তালাও ভাঙা ছিল বলে অভিযোগ। আলমারি ভাঙা, নথিপত্র ছড়ানো। কয়েক হাজার টাকাও চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ। |
তছনছ জিনিস। —নিজস্ব চিত্র। |
শিবির করে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্য উপভোক্তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টনের কাটোয়া গ্রুপ। ৮ মাস কেটে যাওয়ার পরেও বিদ্যুৎ সংযোগ হয়নি বলে মঙ্গলবার কাটোয়ার সহ-বাস্তুকার দফতরে বিক্ষোভ দেখালেন গাঁফুলিয়া গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির শিবির হয় গত বছর ১২ অগস্ট। সে সময়ে গ্রামের ৮৫ জন বাসিন্দা বিদ্যুৎ সংযোগ চেয়ে আবেদন করেন। তাদের ৩৮ জনের কাছ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ বাবদ ৪৩৩ টাকা করে নেওয়া হয়। বাকিদের বাড়িতে এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান দফতরের আধিকারিকেরা। কাটোয়ার সহকারি বাস্তুকার লাল্টু মণ্ডল বলেন, “ওই গ্রামে ৬৩ কেডিএ ট্রান্সফর্মার বসাতে হবে। তাই দেরি হয়েছে। |