জল সঙ্কট তীব্র হচ্ছে জামুড়িয়ার পরাশিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। পরাশিয়া, কুলডাঙা, কেন্দাডাঙাল, চালতাধাওড়া, চাটাই সেন্টার, মুন্নাপাড়া, ঘোষপুকুর, মাঝিপাড়া এবং পরাশিয়া সাউথ পাড়ায় এখনওজনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জলের কোনও পাইপলাইন বসানো হয়নি। কুয়ো আর ইসিএলের জলই ভরসা।
পরাশিয়ার নিমাই ভুঁইয়া, চালতাধাওড়ার বুনি বাউড়ি, ঘোষপুকুরের সনাতন কোলে, সাউথপাড়ার বিনয় সিংহদের অভিযোগ, পরিস্রুত জলের অভাবে পেটের নানা রোগ লেগেই আছে। ইসিএলের খনি আবাসনে যে জল সরবরাহ করা হয়,তাঁরা দূর থেকে সেই জল নিয়ে আসেন। কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয়। ইতিমধ্যেই গরমে কুয়োর জলস্তর দ্রুত নামতে শুরু করেছে। বারবার পরিস্রুত জলের প্রতিশ্রুতি মিলেছে। কিন্তু কোনও প্রতিকার হয়নি। তাঁরা ধরেই নিয়েছেন, এটা তাঁদের ভবিতব্য। তৃণমূলের জামুড়িয়া ব্লক ২ যুব সভাপতি তথা স্থানীয় বাসিন্দা উদীপ সিংহ জানান, বারবার গ্রামপ্রধান থেকে বিডিওর কাছে আবেদন জানিয়েও কোনও প্রতিকার মেলেনি। গরমে প্রতিদিন ট্যাঙ্কারে জল পাঠাচ্ছেন বিডিও। কিন্তু জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জল সরবরাহ ছাড়া সমস্যা মিটবে না। পরাশিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নমিতা বাউড়ি বলেন, “বেলবাঁধ-পরাশিয়া জল প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছিল বিধানসভা ভোটের আগে। দু’বছরের মধ্যেই কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাজই শুরু হয়নি এখনও। আটকে গেল কেন, তাও জানি না।” বিডিও জয়ন্ত দাস বলেন, “গ্রাম প্রধান এই নিয়ে আমার সঙ্গে কথা বলেননি। প্রকল্পটির ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছি।”
নিউকেন্দা কোলিয়ারির খনি কর্মী আবাসন এলাকাতেও প্রায় এক মাস জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এর জেরে ইস্টকেন্দা, ৩ নম্বর খনি, কেন্দা গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় হাজার কয়েক পরিবার জলকষ্টে ভুগছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সরকার পরিবর্তনের পরেই অনেকেই অনুমতি ছাড়াই বাড়ির সামনে দিকে যাওয়া জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের পাইপলাইন থেকে অবৈধভাবে পাড়ায় পাড়ায় একটি করে কল বসিয়েছেন। এর জেরে এই বছর জলকষ্ট তীব্র হবে না বলেই মনে করছেন তাঁরা। কিন্তু ইতিমধ্যেই শুকিয়ে যাচ্ছে সরকারি কুয়োগুলি। খনি কর্তৃপক্ষ জানান, বাঁশজুরির পরিত্যক্ত খনির জল সরবরাহ করা হচ্ছিল। ওই খনির জল শুকিয়ে গিয়েছে। অন্য একটি পরিত্যক্ত খনি থেকে জল সরবরাহের জন্য পাইপলাইন পাতার কাজ দ্রুত শুরু হবে। |