দালালরাজ বন্ধ করা-সহ হাসপাতালের বিভিন্ন অব্যবস্থা নিয়ে শনিবার কালনা মহকুমা হাসপাতালের সুপারকে স্মারকলিপি দিল বিজেপি। তাদের দাবি, কালনা মহকুমা হাসপাতালের দালাল রাজ বন্ধ করতে হবে, সার্জিক্যাল, মেডিসিন বিভাগ-সহ কয়েকটি বিভাগে ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা দেওয়ার দাবি করেন তাঁরা। সামান্য কারণে অন্য হাসপাতালে রোগীদের স্থানান্তরিত না করা, ঘুষ না নেওয়া, রোগীদের খাবারের মান বাড়ানোর কথাও বলা হয়। মুখ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, জেলাশাসক এবং মহকুমাশাসককেও স্মারকলিপিটি পাঠানো হবে বলে জানায় বিজেপি। সংগঠনের পক্ষে সঞ্জীব বাগচী বলেন, “দিন দিন মহকুমা হাসপাতালের পরিষেবা তলানিতে ঠেকছে। গরীব পরিবারের রোগীরা সমস্যায় পড়ছেন।” সুপার অভিরূপ মণ্ডলের আশ্বাস, দাবিগুলি খতিয়ে দেখা হবে।
|
গুটখা নিষিদ্ধ করছেন মমতা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বৈঠক ডাকা হয়েছিল ডেঙ্গি নিয়ে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সোমবার বিকেলে মহাকরণে সেই বৈঠকেই রাজ্যে গুটখা বিক্রি নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাস্থ্যকর্তারা জানান, বৈঠকে গুটখার প্রসঙ্গ তোলেন মুখ্যমন্ত্রীই। বেশ কিছু রাজ্য আগেই গুটখা নিষিদ্ধ করেছে। পশ্চিমবঙ্গে মুখের ক্যানসার বাড়তে থাকায় বেশ কিছু দিন ধরে চিকিৎসক ও একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুটখা নিষিদ্ধ করার দাবি জানাচ্ছেন। স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী জানান, মুখ্যমন্ত্রী গুটখা নিষিদ্ধ করতে বদ্ধপরিকর। দু’-এক দিনের মধ্যেই সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার কথা।
|
অবশেষে খরা কাটল এসএসকেএম হাসপাতালে পূর্বাঞ্চলের একমাত্র ত্বক ব্যাঙ্কের। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে খাতায়-কলমে চালু হলেও, এত দিন এখানে কোনও মৃতদেহ থেকে ত্বক সংগ্রহ করা যায়নি। পরিকাঠামোর অভাব এ ক্ষেত্রে মূল বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। অবশেষে, সোমবার প্রথম কোনও মৃতদেহ থেকে ত্বক সংগৃহীত হলে ত্বক ব্যাঙ্কে। আপাতত সেই ত্বকের ব্যাক্টেরিয়োলজিক্যাল পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, পরীক্ষায় ক্ষতিকর কিছু না মিললে অন্য কোনও রোগীর দেহে প্রয়োজন মতো ওই ত্বকের প্রতিস্থাপন করা হবে। আগুনে পোড়া রোগী ও পথ দুর্ঘটনায় চেহারা বিকৃত হয়ে যাওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে ত্বক প্রতিস্থাপন সব চেয়ে বেশি প্রয়োজনীয়। সোমবার যাঁর ত্বক দিয়ে ত্বক-ব্যাঙ্কের কাজ শুরু হল তাঁর নাম ফল্গু মজুমদার। নেতাজি নগরের বাসিন্দা বছর বাষট্টির ফল্গুদেবীর মৃত্যু হয়েছিল গত শনিবার, ২০ এপ্রিল। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে দেহদানের অঙ্গীকার করে গিয়েছিলেন। সোমবার এসএসকেএমে দেহদানের পর ত্বক-ব্যাঙ্কের জন্য তাঁর ত্বক সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেন এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। ফল্গুদেবীর বাড়ির লোককে সে কথা জানালে তাঁরাও সম্মতি জানান। |