রাস্তা তৈরিতে নিম্নমানের দ্রব্য ব্যবহারের অভিযোগে রবিবার রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দিলেন গ্রামবাসীরা। ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা এলাকায় ওই রাস্তার কাজ বন্ধ ছিল সোমবারও।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় গোবিন্দনগর মোড় থেকে নাগরতলা মোড় পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা তৈরির জন্য জেলা পরিষদ থেকে ২০১২ সালের নভেম্বরের শেষ দিকে টেন্ডার ডাকা হয়। ডিসেম্বরে শুরু হয় রাস্তার কাজ। রাস্তা তৈরির কাজ কিছুদিন হওয়ার পরেই নিম্নমানের দ্রব্য ব্যবহারের অভিযোগ করেন গ্রামবাসীরা। রবিবার বন্ধ করে দেওয়া হয় কাজ। সোমবার ঘটনাস্থলে যান ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরা।
স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল চন্দ্র গাইন বলেন, “রাস্তা তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু কাজ শুরুর পর দেখা গেল ঠিকমত পিচ দেওয়া হচ্ছে না। নিম্নমানের জিনিস ব্যবহার হচ্ছে। প্রশাসনে জানানোর পরেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। তাই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।” স্থানীয় বাসিন্দা পীযূস সরকারের অভিযোগ, “সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তাই জোড়াতালি দিয়ে রাস্তা তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। রাস্তায় রোলার দিলে পাথর উঠে যাচ্ছে।” |
নিম্নমানের দ্রব্য ব্যবহারের অভিযোগ মেনে নিয়ে ক্যানিং ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও তৃণমূল নেতা সওকত মোল্লা বলেন, “আমি রবিবার বিকেলে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। আপাতত রাস্তার কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।”
যদিও নিম্নমানের দ্রব্য ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই রাস্তা তৈরির দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার নারায়ন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘জেলা পরিষদ থেকে ১ কোটি ৪২ লক্ষ টাকার ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে। ২০ মিলিমিটার পুরু পিচিং রাস্তা হওয়ার কথা। সেইমতো কাজ হচ্ছে।”
ক্যানিং ২ ব্লকের বিডিও সিরাজ ইব্রাইম বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেটা শুনিনি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।”
জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আবু তাহের সর্দার বলেন, “নিম্নমানের দ্রব্য ব্যবহারের বিষয়টি জানি না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেব।” অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) অলকেশ প্রসাদ বিষয়টি নিয়ে তাঁর কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি জানিয়ে বলেন, “খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
সামনেই বর্ষাকাল। তার আগে রাস্তার কাজ নতুন করে শুরু হয় কিনা এখন সেটাই দেখার। |