|
|
|
|
গাড়ির গতিতে লাগাম নেই, দুর্ঘটনায় মৃত্যু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
অটো ও মোটর বাইকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল দু’জনের। সোমবার সকালে শালবনির জাড়া-জলহরির মাঝে, মিরগার কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতেরা হলেন তরুণ সেনগুপ্ত (৪৪) ও বুদ্ধেশ্বর চালক (৪৮)। তরুণবাবু এক হাইস্কুলের করণিক। সকালে নিজের মোটর বাইকে স্কুলে যাচ্ছিলেন। সেই সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এরপর ভাদুলতা-লালগড় রাস্তা বেশ কিছুক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। অটোটিকে আটক করা হয়েছে। সংঘর্ষে অটোর কয়েকজন যাত্রী জখম হন। তবে তাঁদের আঘাত গুরুতর নয়।
অটোটি যখন ভাদুতলার দিকে আসছিল, তখন মৌপালের দিকে যাচ্ছিলেন তরুণবাবু। মিরগার কাছে অটোর সঙ্গে তাঁর মোটর বাইকের সংঘর্ষ হয়। তখন সকাল সাড়ে ছ’টা। ঘটনাস্থলেই মারা যান বুদ্ধেশ্বরবাবু। তিনি অটোর যাত্রী ছিলেন। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তরুণবাবুরও। তিনি মৌপাল দেশপ্রাণ বিদ্যাপীঠের করণিক ছিলেন। বাড়ি মেদিনীপরের ক্ষুদিরামনগরে। এক মাস আগেও দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। গত ২০ মার্চ মোটর বাইকে স্কুলে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনা হয়। সে বার সামান্য চোট লেগেছিল। সে দিনের পর সোমবারই প্রথম স্কুলে যাচ্ছিলেন তিনি। ফের দুর্ঘটনা। এ বার আর প্রাণরক্ষা হল না।
দুর্ঘটনার খবরে শোকস্তব্ধ মৌপাল বিদ্যাপীঠের সকলেই। এ দিন থেকেই ইউনিট টেস্ট শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে তা হয়নি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক প্রসূনকুমার পড়িয়া বলেন, “ওঁর শরীর ভাল ছিল না। এক মাস ছুটিতে ছিলেন। রবিবার রাতে ওঁর সঙ্গে দেখা হয়। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। তখনই জানান, সোমবার থেকে স্কুলে আসবেন।” মেডিক্যালের মর্গের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বলছিলেন, “আমিও মোটর বাইকে স্কুলে যাচ্ছিলাম। মাঝপথে শুনি, তরুণবাবু দুর্ঘটনার মুখে পড়েছেন। যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছই, তখন সব শেষ।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ভাদুতলা-লালগড় রাস্তায় দ্রুত গতিতে গাড়ি চলাচল করে। তার জেরেই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। ওই অটোতেও বাড়তি যাত্রী তোলা হয়েছিল। বুদ্ধেশ্বরবাবুর বাড়ি চ্যাংশোল এলাকায়। তিনি চাষবাস করতেন। তাঁর ছেলে প্রদীপ চালকও মৌপাল বিদ্যাপীঠের ছাত্র। তাঁর মৃত্যুর খবরে পরিবারের সকলেই শোকস্তব্ধ। |
|
|
|
|
|