সারদা-কাণ্ড নিয়ে তরজায় জড়ালেন সিপিএম নেতা তথা প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। রবিবার শিলিগুড়িতে প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “আমানতকারীদের সব টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে। ওই গোষ্ঠীর কর্তা সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের কোনও নেতা-মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠতা ছিল তাও খুঁজে বার করতে হবে।” এর পরেই অশোকবাবুর প্রশ্ন, “আমানতকারীরা সেবক রোডে অবরোধ করতেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের বাড়িতে পুলিশ পাহারা বসানো হল কেন? মন্ত্রীর যদি সারদা গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ না-থাকে তা হলে গোলমালের আশঙ্কা করা হল কেন?” প্রাক্তন পুরমন্ত্রীর দাবি, তৃণমূলের উত্তরবঙ্গের কয়েকজন নেতা-মন্ত্রীর নাম আমানতকারীরা কেন বলছেন তা নিয়েও তদন্ত দরকার।”
পাশাপাশি, জলপাইগুড়ির গজলডোবায় যে ‘মেগা ট্যুরিজম’ প্রকল্পের কাজ রাজ্য সরকার হাতে নিয়েছে তার জন্য অনেক জমি ভুঁইফোঁড় সংস্থাগুলির হাতে দেওয়া হয়েছে বলে সন্দেহ সিপিএম নেতাদের। শিলিগুড়িতে ফিল্ম সিটি তৈরির জন্য প্রায় ৮৪ একর সরকারি জমিও একটি ভুঁইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে এসজেডিএ-এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা সিপিএম নেতা অশোকবাবুর অভিযোগ। তিনি বলেন, “বাম আমল ‘রাম-আমল’ ছিল না। তখনও দুর্নীতি ছিল। গুণ্ডা, অপরাধী, এ ধরনের কিছু ভুঁইফোঁড় সংস্থা ছিল। কিন্তু আমাদের কোনও নেতা, মন্ত্রী এ সবে যুক্ত ছিলেন, এমন অভিযোগ নেই।”
প্রাক্তন পুরমন্ত্রী যে কটি অভিযোগ করেছেন তা প্রমাণ করতে পারলে তিনি সমস্ত পদ ত্যাগ সরে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে অশোকবাবুকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। এ ধরনের মন্তব্য করার জন্য দ্রুত আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।” সিপিএমের এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তারা দলের তরফেও আন্দোলনে নামবেন বলে জানান। মন্ত্রী জানান, ২ এপ্রিল পুলিশ-প্রশাসনকে নিয়ে তিনি বৈঠক করেছিলেন। সেখানেও ভুঁইফোঁড় এ সব অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিলেন। সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, “অশোকবাবু যখন শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান ছিলেন, সে সময় কী ভাবে চাঁদমণি চা বাগানের জমি হস্তান্তর হয়েছে সে সব নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। বিভিন্ন খুনের মামলাতেও অশোকবাবুর বিরুদ্ধে অভিয়োগ রয়েছে।” |