উত্তরবঙ্গে ভুঁইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব সক্রিয় নন বলে অভিযোগ তুললেন মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক তথা জেলা কংগ্রেস সভাপতি (সমতল) শঙ্কর মালাকার। রবিবার শিলিগুড়ি জংশন স্টেশন মোড় লাগোয়া প্রধাননগরে একটি দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি এ কথা জানান। তিনি জানান, যে সমস্ত ভুঁইফোঁড় সংস্থা গরিব বাসিন্দাদের কষ্টের টাকা নিয়ে নয়ছয় করছে শাসক দলের সাংসদ, মন্ত্রীদের অনেকে তাদের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ উঠছে। উত্তরবঙ্গেও ওই সমস্ত সংস্থাগুলিতে প্রচুর বাসিন্দা আমানত করে প্রতারিত হচ্ছেন। শঙ্করবাবুর অভিযোগ, “ওই সমস্ত সংস্থার বিরুদ্ধে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী নিরব কেন? ওই সংস্থার সঙ্গে তিনি এবং তাঁর দলের নেতাদের কয়েকজন জড়িত বলে অভিযোগ উঠছে। মন্ত্রীকে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সক্রিয় হতে হবে। না হলে বুঝব অভিযোগের সত্যতা রয়েছে।” প্রতিবাদে কংগ্রেসের ছাত্র যুব নেতৃত্ব শীঘ্রই আন্দোলনে নামবে বলেও জানান।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার ওই সংস্থাগুলিকে অনুমোদন দিয়েছে। বাম জমানায় ওই সংস্থাগুলি রাজ্যে তাদের কারবার শুরু করে। তা ছাড়া এ সব খতিয়ে দেখা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের কাজের মধ্যে পড়ে না। তা সত্ত্বেও তিনি গত ২ এপ্রিল পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে বৈঠক করে বিষয়গুলি দেখতে বলেছিলেন।” শঙ্করবাবুর দাবি, এ রাজ্যেই সমস্যা প্রবলভাবে দেখা দিয়েছে। তাই রাজ্য সরকারকেই তা দেখতে হবে। এ দিন প্রধাননগরে ইন্দিরা ভবন নামে যে নতুন কার্যালয়ের উদ্বোধন হয়েছে সেটি রেলের জায়গায় বলে অভিযোগ উঠেছে। শঙ্করবাবুর দাবি রেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়েই কাজ করা হয়েছে। যদিও নিউ জলপাইগুড়ির এরিয়া ম্যানেজারের দফতর থেকে জানানো হয়েছে বিষয়টি তাদের জানা নেই। তারা খোঁজ নিয়ে দেখছেন। |