রাজ্যের নবগঠিত পুলিশ কমিশনারেটগুলির আধুনিকীকরণে উদ্যোগী হয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর। পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে এই সব কমিশনারেটের অন্তর্গত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে ক্লোজড্ সার্কিট ক্যামেরা বসানোর উপরে জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্য পুলিশের আধুনিকীকরণের দায়িত্বে রয়েছেন স্পেশাল আইজি বরুণ মল্লিক। তাঁর কথায়, “আমরা কমিশনারেটগুলিকে আরও আধুনিক করার চেষ্টা করছি। ক্লোজড্ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হলে কাজের সুবিধা হবে।”
বিধাননগরে কমিশনারেট এলাকার প্রধান প্রধান রাস্তায় এবং গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে ইতিমধ্যে ক্লোজ্ড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পুলিশের কন্ট্রোল রুমে সেই ক্যামেরার মনিটর বসানো হয়েছে। মনিটর থেকে নজরদারি চালাচ্ছে কমিশনারেটের পুলিশ। মিটিং, মিছিল, সভাস্থল এবং যে সমস্ত রাস্তায় তীব্র যানজট হয়, সেই সব জায়গাতেই প্রাথমিক ভাবে ক্যামেরা বসানো হয়েছে। পরে আরও বেশি ক্যামেরা বসানো হবে। স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রের খবর, বিধাননগর কমিশনারেটকে ক্যামেরা-সহ যন্ত্রপাতি বসানোর জন্য ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
সম্প্রতি রাজ্য সরকার পাঁচটি কমিশনারেট তৈরি করে। তার মধ্যে বিধাননগর কমিশনারেট ক্যামেরা বসিয়ে কাজ শুরু করেছে। এর পরে হাওড়া এবং ব্যারাকপুরকে ক্যামেরা বসানোর টাকা দেওয়া হচ্ছে। তার পরে আসানসোল এবং শিলিগুড়িকে টাকা দেওয়া হবে।
কমিশনারেট এলাকায় জনসংখ্যা বেশি। প্রতিদিন বাইরে থেকে কাজের জন্য বহু মানুষ এই সমস্ত এলাকায় আসেন। মিছিল, মিটিং, সমাবেশ এই এলাকাগুলিতেই বেশি হয়। পুলিশের সংখ্যা কম হওয়ায় সর্বত্র পুলিশ দেওয়া সম্ভব নয়। তাই ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি করা হলে পুলিশের কাজের সুবিধা হবে।
রাজ্য পুলিশের এক কর্তা বলেন, পুলিশের আধুনিকীকরণ খাতে টাকা দেওয়া হয়। সেই টাকা দিয়েই কমিশনারেটগুলিকে আধুনিক করা হচ্ছে। কমিশনারেটের কন্ট্রোল রুমেরও আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে। কোন রাস্তায় যানযট রয়েছে, বেআইনি ভাবে গাড়ি পার্কিং করা রয়েছে কি না, ওভারটেক করে গাড়ি যাচ্ছে কি না, পুলিশ ঠিক মতো কাজ করছে কি না তা-ও কন্ট্রোল রুমে বসে মনিটরিং করা যাবে।
উল্টোডাঙা খালপাড় থেকে গোলাঘাটা, লেকটাউন, দমদম পার্ক, বৈশাখী, ২০৬ নম্বর বাস স্ট্যান্ড কংক্রিটের সেতুর মুখে ক্যামেরা বসানো হয়েছে। বাইরে থেকে কারা আসছে কারা যাচ্ছে সবই ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে।
এ ছাড়াও করুণাময়ী, সেক্টর ফাইভ, সরকারি ভবনের সামনেও ক্যামেরা নজরদারি করা হচ্ছে। কোনও দুর্ঘটনা হলে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় পুলিশকে ওয়্যারলেসের মাধ্যমে খবর দেওয়া হচ্ছে। পুলিশের মোবাইল গাড়িগুলিতে জিপিএস সংযোগ করা হচ্ছে। এর ফলে যোগাযোগের সুবিধা আরও বাড়বে।
|