লগ্নিকারীরা তাঁদের হাত দিয়েই টাকা রেখেছিলেন। এখন সংস্থার ঝাঁপ বন্ধ হয়ে টাকা ফেরত অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় সকলেই সংস্থার এজেন্টদের কাছে ভিড় করছেন। কিছু কিছু জায়গায় এজেন্টদের ঘরবাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এই অবস্থায় তাঁদের নিরাপত্তার দাবিতে রবিবার বসিরহাট থানার সামনে জড়ো হন সারদা সংস্থার এজেন্টরা। থানার পুলিশকর্তাদের কাছে তাঁদের আকুতি, ‘আমানতকারীরা আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করছে। মারধর করছে। আমাদের থানায় আটকে রেখে বাঁচান’। |
শনিবার রাতে বসিরহাটের মুন্সিরবাগান এাকায় সারদা সংস্থার দফতরে ভাঙচুর করে জনতা। রবিবার সংস্থার এজেন্টরা থানায় গিয়ে আমানতকারীদের হামলা থেকে তাঁদের বাঁচানোর জন্য দাবি জানান। এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ থানায় গিয়ে দেখা যায়, থানা চত্বরে শতাধিক এজেন্ট জড়ো হয়েছেন। অনেকের হাতে পোস্টার ‘দিদি আমাদের বাঁচান’। অনেকে কাঁদছেন। কেউ আবার মাথায় হাত দিয়ে বসে। তারই মধ্যে কারও কারও মোবাইলে তাদের বাড়িতে ভাঙচুরের খবর আসছে। যতই এ ধরনের খবর আসতে থাকে ততই জোরালো হতে থাকে দাবি। বিক্ষোভের খবর পেয়ে বসিরহাটের এসডিপিও অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় থানায় আসেন। তাঁকে ঘিরেই এজেন্টরা সমস্বরে বলে থাকেন, “স্যার, তিন ধরে আমরা ঘরছাড়া। পরিবারের লোকজন ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। আমাদের গ্রেফতার করে থানায় রাখুন, নয়তো ওরা আমাদের মেরে ফেলবে।” এসডিপিওকে স্মারকলিপিও দেন তাঁরা। যে ভাবে এজেন্টদের উপরে হামলা শুরু হয়েছে, তাতে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে সুরাহা দিতে না পারলে পরিবার নিয়ে আত্মহত্যার হুমকির কথাও স্মারকলিপিতে জানিয়েছেন এজেন্টরা। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে রবি দে, আবদুল্লা মণ্ডল বলেন, “আমানতকারীদের কাছ থেকে আমরা দু’জনে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা তুলে সারদা সংস্থায় জমা দিয়েছি। এখন আমানতকারীরা আমাদের খুঁজছে। পুলিশ নিরাপত্তা না দিলে বাড়িতে ঢুকতে পারছি না।” |