কল্যাণী পুরসভার তৃণমূল কংগ্রেসের পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনল তার দলেরই কাউন্সিলররা। কুড়ি আসন বিশিষ্ট কল্যাণী পুরসভায় তৃণমূলের আসনসংখ্যা ১৪। এছাড়া সিপিএমের পাঁচটি ও কংগ্রেসের একটি আসন রয়েছে। এদের মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাবে সাক্ষর করেছেন উপ পুরপ্রধান সুশীল কুমার তালুকদার-সহ দশ জন তৃণমূল কাউন্সিলর। গত ৩ এপ্রিল অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়লেও নিয়ম মেনে সভা ডাকেননি পুরপ্রধান। তাই বাধ্য হয়ে উপ পুরপ্রধান মঙ্গলবার অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটাভুটির জন্য সভা ডেকেছেন।
কল্যাণী পুরসভার উপ পুরপ্রধান সুশীলবাবু বলেন, “দলের নেতৃত্ব যা বলবেন সেটাই হবে। তবে মানুষের জন্য কাজ করার দায়বদ্ধতা নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলাম। সেটা করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল।” এ ব্যপারে বিশেষ কিছু বলতে চাননি পুরপ্রধান প্রদীপ কুমার সুর। তিনি বলেন, “আমরা দলের অনুগত সৈনিক। দলের নির্দেশ মেনে যা করার করব।” গত নির্বাচনে বামফ্রন্টের কাছ থেকে পুরসভা ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল। কল্যাণী শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কাঁচড়াপাড়া কলেজের অধ্যাপক প্রদীপ কুমার সুরকে পুরপ্রধান করা হয়। যদিও শুক্রবারই প্রদীপবাবুকে শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে বেলঘরিয়া ভৈরব চন্দ্র কলেজের অধ্যাপক নীলাদ্রি শেখর বন্দো্যপাধ্যায়কে ওই পদে বসানো হয়েছে।
কল্যাণীর তৃণমূল বিধায়ক রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, বলেন, “দলের কাউন্সিলরদের মর্যাদা না দেওয়া এমন কি তাদের অন্ধকারে রেখে কাজ করছিলেন পুরপ্রধান। তাই দলের কাউন্সিলররা তাকে সরাতে চেয়েছেন।” পুরসভার সিপিএমের বিরোধী দলনেতা ও প্রাক্তন পুরপ্রধান শান্তনু ঝা বলেন, “গত আড়াই বছর ধরে ওরা একই নাটক করে আসছে। আমরা চাই দ্রুত সমস্যার সমাধান চাই। এ বিষয়ে গঠনমূলক বিরোধী দল হিসেবে প্রয়োজনে পরামর্শ দিতেও রাজি।”
কল্যাণী পুরসভার একমাত্র কংগ্রেস কাউন্সিলর সোমনাথ বেহারা বলেন, “ওদের কাছে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করা যায় না।” |