টুকরো খবর
অন্নপূর্ণা পুজোয় মেতেছে কান্দি
পাঁচ দশক আগে ম্যারাপ বেঁধে অনাড়ম্বর পরিবেশে শুরু হয়েছিল অন্নপূর্ণা পুজো। এখন অবশ্য সেই অস্থায়ী মণ্ডপের পরিবর্তে হয়েছে ঝা চকচকে সাদা মার্বেল পাথরের মেঝের মন্দির। সেখানেই বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী অন্নপূর্ণার আরাধনা। কান্দি বাজার অন্নপূর্ণা পুজো কমিটির পরিচালনায় এই পুজো এ বার ৫৬ বছরে পা রাখল। পুজোতে কান্দি সহ আশপাশের আট থেকে আশি সকলেই ভিড় করেন। স্থানীয় মৃৎশিল্পীদের তৈরি অন্নপূর্ণার প্রতিমা। মূর্তির ডানদিকে শিব ও বাম দিকে ধনকুবেরের মূর্তি থাকে। পুজোর দিনগুলিতে কোনওদিন লুচি, মিষ্টি, কোনও দিন আবার ঘৃতান্নভোগ বিতরণ করা হয়। পুজোর অন্যতম আকর্ষণ লুচি, পায়েস ও বোঁদে সহযোগে ‘অন্ন-মহোৎসব’ ভোগ। এ বছর রবিবার দুপুরে বাজারের উপরের প্রধান রাস্তায় এই ভোগের আয়োজন করা হয়। কয়েক হাজার লোক ভক্তি সহকারে ওই ভোগ গ্রহন করেছেন। কান্দির বিধায়ক কংগ্রেসের অপূর্ব সরকার হাজির ছিলেন রবিবাসরীয় দুপুরের ওই বাৎসরিক মহোৎসবে। অপূর্ববাবু বলেন, “দুর্গাপুজোর মতই অন্নপূর্ণার আরাধনাকে কেন্দ্র করে উদ্দীপনায় মেতে ওঠেন লোকজন।” ওই পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা উমাপদ চন্দ্র বলেন, “পুজোর ক’টা দিন ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই মেতে থাকেন। অন্ন-মহোৎসব পুজোতে অন্য মাত্রা যোগ করে।” পুজোকে ঘিরে প্রতি সন্ধ্যায় মন্দির চত্বরে বসে কীর্তন কিংবা বাউলের আসর। পুজো কমিটির সভাপতি প্রহ্লাদ রায় বলেন, “এলাকার মানুষ, ব্যবসায়ী ও পুলিশ-প্রশাসনের সহায়তায় প্রতিবারই সুষ্ঠুভাবে পুজোর আয়োজন করা হয়।”

খুনের অভিযোগে ধৃত স্বামী-ছেলে
এক প্রৌঢ়াকে খুনের অভিযোগে তাঁর স্বামী ও ছেলেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কৃষ্ণনগরের শুকুলরোড এলাকার বাসিন্দা প্রণতি সরকার (৬২)-কে শনিবার রাতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসা শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। বিষয়টি পরদিন সকালে চাউর হতেই প্রতিবেশীরা বাবা-ছেলের উপর চড়াও হয়। জনরোষের হাত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ ওই মহিলার স্বামী কালীপদ সরকার ও ছেলে সঞ্জীবন সরকারকে গ্রেফতার করে। কৃষ্ণনগরের আইসি অলোকরঞ্জন মুন্সি বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দু’জনকে পাকড়াও করা হয়েছে।” পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রের খবর ওই মহিলার স্বামীর স্থায়ী রোজগারের কোনও সংস্থান নেই। ছেলে সঞ্জীবনের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। সম্প্রতি এক লাখ টাকার রফাতে মামলা তুলতে রাজি হন তাঁর স্ত্রী। সঞ্জীবন ওই টাকা যোগাড়ের জন্য বাড়ি বিক্রি করতে চাইছিলেন। প্রণতিদেবী বেঁকে বসেন। মৃতার ভাই প্রলয় দাস পুলিশকে কাছে দিদিকে খুনের অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘বাড়ি বিক্রিতে সায় না দেওয়ায় দিদিকে ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয়েছে।” অন্যদিকে অভিযুক্ত সঞ্জীবন সরকার বলেন, “হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মা মারা গিয়েছেন। খুনের প্রশ্নই ওঠে না।”

দুর্ঘটনায় মৃত
গাড়ির ধাক্কায় রঘুনাথগঞ্জের ওসমানপুরে মৃত্যু হল তানবির রানা শেখ (৪) নামে এক শিশুর। বাড়ি জঙ্গিপুরের মির্ধাপাড়ায়। রবিবার দাদুর বাড়ির সামনে গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয় তার।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.