টুকরো খবর |
তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে বোমাবাজি
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
তৃণমূলের স্থানীয় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ ও বোমাবাজির জেরে উত্তেজনা ছড়াল পটাশপুর ২ ব্লকের আড়গোয়াল পঞ্চায়েতের সাতশতমাল এলাকায়। ওই ঘটনায় উভয়পক্ষের কয়েক জন আহত হয়েছেন। উভয়পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও গ্রেফতার হননি কেউই। পটাশপুর থানার ওসি সুধাংশু লায়েক বলেন, “সাতশতমাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকা পুলিশ ক্যাম্পে পুলিশ কর্মীর সংখ্যা ও টহল আরও জোরদার করা হয়েছে।” মঙ্গলবার উভয়পক্ষকে নিয়ে মীমাংসায় বসতে চলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সিপিএমের প্রতাপদিঘি জোনাল কমিটির সম্পাদক কালিপদ দাস মহাপাত্রের অভিযোগ, “এলাকায় আধিপত্য বাড়ানোর লক্ষেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়েছে। বোমা বন্দুকের লড়াইয়ে আতঙ্কিত এলাকার মানুষ।” তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মৃণালকান্তি দাস বলেন, “ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বিভিন্ন ইস্যুতে স্থানীয় দুই গোষ্ঠীর বিরোধে ওই ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার উভয়পক্ষকে নিয়ে মীমাংসা সূত্র খোঁজা হবে।” তৃণমূলের স্থানীয় নেতা মালেক আলি গোষ্ঠীর অভিযোগ, দলের অন্য গোষ্ঠীর মদতে সম্প্রতি সিপিএম থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছে মাবুদ আলি। তৃণমূল ও সিপিএমের পুরানো বিবাদ তো ছিলই। অন্য গোষ্ঠী মালেক গোষ্ঠীকে কোণঠাসা করার জন্য মাবুদদের সাহায্য নেয় ও সংঘর্ষে মদত দেয়। মালেক আলির অভিযোগ, পুরোনো একটি ঘটনায় তাঁকে পঞ্চাশ হাজার টাকার জরিমানা দেওয়ার ফতোয়া দেয় মাবুদ বাহিনী। কিন্তু জরিমানা না দিয়ে তার প্রতিবাদ করায় গত বৃহস্পতিবার মালেক গোষ্ঠীর উপর হামলা চালানো হয়। পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুললে উভয়পক্ষের সংঘর্ষ হয়। পিছু হটার সময় মাবুদবাহিনী বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ। আহত হন মালেক গোষ্ঠীর ফিরোজ আলি। পুলিশ এলে বিক্ষোভ দেখান মালেক গোষ্ঠীর লোকেরা। শুক্রবার রাতে মালেকবাহিনী ও শনিবার মাবুদদের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
|
শিশু-নিগ্রহ হলদিয়ায়, ধৃত পড়শি যুবক
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
দিল্লির গাঁধীনগরে শিশুকে যৌন নিগ্রহের বিরুদ্ধে যখন গর্জে উঠেছে রাজধানী, সেই সময়ই শিশুকন্যা নিগ্রহের অভিযোগ উঠল শিল্পশহর হলদিয়ায়। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হলদিয়ার দুর্গাচক এলাকায়। অভিযুক্ত ধরমরাজ সোনকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ধরমরাজ হলদিয়ার একটি ঠিকাদারি সংস্থায় লোডার চালকের কাজ করেন। বছর দেড়েক আগে ওই এলাকায় বাড়ি ভাড়া নেন তিনি। রবিবার সকালে পাড়ার কয়েকটি বাচ্চার সঙ্গে খেলছিল সাড়ে তিন বছরের প্রতিবেশী শিশুকন্যা। কিছুক্ষণ পর শিশুটির মা ডাকতে এসে দেখে সে নেই। খানিক পরেই শিশুটি ধরমরাজের ঘর থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে আসে। পরে শিশুটির আধো আধো কথা শুনে তার মা ঘটনাটি বুঝতে পারেন। শিশুর বাবা বাড়ি ফিরলে তাঁকেও ঘটনাটি জানানো হয়। খবর দেওয়া হয় পাড়ার ক্লাবে। অভিযুক্ত ধরমরাজকে ধরে এনে পড়শিরা মারধর শুরু করেন। এরপর দুর্গাচক থানার পুলিশ এসে গ্রেফতার করে ধরমরাজকে। শিশুটিকে দুপুরে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। পরে থানায় ধরমরাজের বিরুদ্ধে ‘ধর্ষণের চেষ্টা’র অভিযোগ দায়ের করেন শিশুটির বাবা। স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর বত্রিশের বিবাহিত ধরমরাজের স্ত্রী ও বছরের দু’য়েকের একটি ছেলে রয়েছে। মাস খানেক আগে স্ত্রী ও পুত্রকে উত্তরপ্রদেশে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। ধরমরাজ এখন একাই থাকতেন ভাড়াবাড়িতে। শিশুটির মা বলেন, “ধরমরাজের ছেলে যখন থাকত তখন আমার মেয়ে ওদের ঘরে খেলতে যেত। প্রথমে ভেবেছিলাম সেই জন্যই গিয়েছে। পরে সব বুঝতে পারি।”
|
এগরায় শান্তিসভা তৃণমূলের
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
শান্তিসভা করল তৃণমূল। গত ১৩ এপ্রিল এগরায় কৌড়দায় পথ দুর্ঘটনায় পুলিশ কর্মীদের মারধর ও পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরানোর ঘটনাকে ঘিরে অশান্ত হয়ে উঠেছিল এলাকা। পরিস্থিতি সামাল দিতে কৌড়দায় এ দিন শান্তিসভা করে তৃণমূল। সভায় তৃণমূল নেতারা অভিযোগ করেন, “প্রশাসন জনমুখী না হয়ে জনবিরোধী ভূমিকা নিচ্ছে।” সভায় পুলিশের যেমন সমালোচনা করা হয় তেমনই আশ্বস্ত করা হয় গ্রামবাসীদের। প্রসঙ্গত, গ্রেফতারের ভয়ে কৌড়দা সংলগ্ন এগরা ও পটাশপুর থানা এলাকার ষড়রং, মালিপাটনা, বুঢ়ন, গোপালচক, বারবাটিয়ায় বাড়ির পুরুষ সদস্যরা এলাকা ছাড়া ছিলেন। এর ফলে চাষবাস-সহ নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছিল। গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল, দোষীদের খুঁজে না পেয়ে পুলিশ নিরীহ লোককে গ্রেফতার করছে এবং বাড়ির লোকদের নিগ্রহ করছে। এর ফলে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনে নামার জন্য চাপ তৈরি হচ্ছিল তৃণমূলের উপর। এগরা থানার ওসি গণেশ বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “ঘটনায় যারা যুক্ত তাদেরকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।” সভায় ছিলেন তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী, বিধায়ক জ্যোতির্ময় কর, জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেন প্রমুখ।
|
শৌচাগারে মহিলার দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
শৌচাগার থেকে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থানার কেশিয়াড়ি ভূঁইয়াবাড় এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অঞ্জলি কাউ (৪৯)। স্থানীয় সূত্রে খবর, অঞ্জলিদেবীর স্বামী কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। অঞ্জলিদেবী তিন মেয়েকে নিয়ে সংসার চালাতে সব্জি ব্যবসা ও পরিচারিকার কাজ করতেন। মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার জন্য তিনি বেশ কিছু টাকা ধার করেছিলেন। শনিবার বিকেলে স্থানীয় এক বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতে গিয়ে শৌচাগারের মধ্যে কীটনাশক খান অঞ্জলিদেবী। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁর খোঁজ করতে গিয়ে শৌচাগারের মধ্যে অঞ্জলিদেবীর দেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদের জেরে আত্মহত্যা করেছেন ওই মহিলা।
|
কুপ্রস্তাব, ধৃত দুই যুবক
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
গ্রামের এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করার অভিযোগে দুই যুবককে বেঁধে রেখে বিক্ষোভ দেখাল গ্রামবাসী। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মহিষাদলের অমৃতবেড়িয়া এলাকায়। পরে পুলিশ এসে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে ধৃত শুভজিৎ ভুঁইয়া এবং শুভদীপ ভৌমিক স্থানীয় বাঁকাকমলপুর গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন এলাকার স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী তার বোনকে সাইকেলে চাপিয়ে ফিরছিল। সেই সময় তিন যুবক মেয়েটিকে সাইকেলে ধাওয়া করে এবং কুপ্রস্তাব দেয় বলে অভিযোগ। মেয়েটির চিৎকারে গ্রামের লোকেরা এসে পাকড়াও করে দুই যুবককে। পালিয়ে যায় একজন। এলাকার লক গেটে ধৃতদের বেঁধে বিক্ষোভ দেখায় গ্রামবাসীরা। এরপরই মহিষাদলের পুলিশ এসে দুই যুবককে থানায় ধরে নিয়ে যায়।
|
অপহরণ, ধৃত
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
এক নৃত্যশিল্পীকে অপহরণের অভিযোগে পুলিশ বাপি দেবনাথ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করল। ধৃত বাপি দেবনাথের বাড়ি নন্দীগ্রাম থানার গোকুলনগরে। পুলিশ জানিয়েছে, মারিশদা থানার কুসুমপুর গ্রামের বাসিন্দা রাধাশ্যাম মাইতির মেয়ে সুপ্রিয়াকে দিন কয়েক আগে নাচের অনুষ্ঠানে নিয়ে গিয়েছিলেন বাপি। তারপর থেকেই সুপ্রিয়ার আর কোনও খোঁজ নেই। অভিযোগ পাওয়ার পর মারিশদা থানার পুলিশ বাপিকে গ্রেফতার করে। তবে, সুপ্রিয়াকে পাওয়া যায়নি। সুপ্রিয়াকে উদ্ধারের জন্য শনিবার কাঁথি আদালতে ধৃত বাপিকে নিজেদের হেফাজতে চায় পুলিশ। বিচারক বাপিকে পাঁচ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছেন।
|
জীর্ণ সেতু ভেঙে আহত দুই
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
|
এমনই বেহাল প্রতাপদিঘি-বালাগোবিন্দপুর রাস্তা। ছবি: কৌশিক মিশ্র। |
কাঠের জীর্ণ সেতু ভেঙে গাড়ি খালে পড়ে আহত হলেন গান-বাজনার দলের দুই কর্মী। শনিবার রাতে দুর্ঘনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের বামুনপুর সংলগ্ন হিজলি টাইডাল খালের সেতুর উপর। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে বামুনপুর গ্রামে কালীপুজো উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে অনুষ্ঠান করতে আসা দলটি একটি পিক-আপ ভ্যানে মাইক ও যন্ত্রপাতি বোঝাই করে মহিষাদলে ফিরছিল। সেতু পার হওয়ার সময় হঠাৎই গাড়িটি সেতু ভেঙে পড়লে আহত হন গানবাজনার ওই দলের দুই কর্মী। তাঁদের বাসুলিয়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
|
হোটেলে ঝুলন্ত দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
নিউ দিঘার হোটেলে গলায় গামছার ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত এক পযর্টকের দেহ উদ্ধার হল। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অরুণ দাঁ। বছর চল্লিশের অরুণবাবুর বাড়ি বধর্মান সদরের উত্তর রেললাইন পাড়ায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি গত ১৭ এপ্রিল নিউ দিঘার একটি হোটেলে ওঠেন। শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত দরজা না খোলায় হোটেল কর্তৃপক্ষ দিঘা থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে অরুণবাবুর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে মানসিক অবসাদের কারণেই অরুণবাবু আত্মঘাতী হয়েছেন বলে মনে করছে পুলিশ। ময়না-তদন্তের জন্য মৃতদেহ কাঁথি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
|
স্মরণ সভা
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও প্রয়াত সিপিআই নেতা কামাক্ষ্যানন্দন মহাপাত্রের স্মরণসভা হল তমলুকে। সিপিআইয়ের জেলা কমিটির উদ্যোগে রবিবার বিকেলে নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধে এই সভা হয়। ছিলেন মঞ্জুকুমার মজুমদার, সন্তোষ রানা, অশোক রায়, নিরঞ্জন ঘড়া-সহ জেলা বাম নেতৃত্ব।
|
কোথায় কী |
কর্মশালা
জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেস উপলক্ষে কর্মশালা। বিষয় ‘শক্তি’।
মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলে (বালক) হবে এই কর্মশালা।
বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকারা যোগ দেবেন। |
|