|
|
|
|
অ্যাম্বুল্যান্সের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় মৃত দুই, আহত চার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
বাড়িতে পড়ে গিয়ে জখম তিন বছরের ছেলেকে অ্যাম্বুল্যান্সে দিঘা থেকে কলকাতা নিয়ে যাচ্ছিলেন মা-বাবা-সহ বাড়ির লোকেরা। নন্দকুমারের নরঘাটের কাছে বিপরীতমুখী বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল অ্যাম্বুল্যান্স চালক ও শিশুর বাবার। গুরুতর আহত হয়েছে শিশু-সহ আরও ৪ জন। রবিবার দুপুর ১টা নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানার নরঘাটের কাছে বাগডোবা জালপাই গ্রামে দিঘা-কলকাতা সড়কে। আহতদের প্রথমে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। মৃত অ্যাম্বুল্যান্স চালকের নাম ব্রজগোপাল জানা (৩৬)। শিশুর বাবা মৃত দিলীপ জানা (৩৫) হাওড়া জেলা পুলিশে কনস্টেবল পদে ছিলেন। দিঘার হরপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি।
এ দিন হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল, তিন বছরের ছেলে সম্পদ ও তার মায়ের মাথা ফেটে গুরুতর অবস্থা। বাকি দুই আহতের মধ্যে বিধান হাজরার অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসপাতালে পরিজনেরা জানান, এ দিন সকালে বাড়িতে মেঝেয় পড়ে গিয়ে মাথায় চোট পায় সম্পদ। তাকে প্রথমে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। চিকিৎসক ওই শিশুর মাথায় স্ক্যান করার সুপারিশ করলে পরিবারের লোকজন কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। অ্যাম্বুল্যান্সে সম্পদকে কোলে নিয়ে চালকের পাশের আসনে বসেছিলেন দিলীপবাবু। পিছনের আসনে বসে ছিলেন শিশুর মা সুমনা জানা, আত্মীয় দিবাকর জানা, বিধান হাজরা। পেছনে একটি অন্য গাড়িতে ছিলেন আত্মীয় শশধর জানা-সহ আরও তিন জন। প্রত্যক্ষদর্শী শশধরবাবু বলেন, “দুপুর ১টা নাগাদ হলদি নদীর সেতু পেরনোর পর একটি তেল পাম্পের কাছে দুর্ঘটনাটা ঘটে। রাস্তার উপর দাঁড়ানো একটি গাড়িকে পাশ কাটানোর সময় গেঁওখালি-ইটাবেড়িয়া বাসের সঙ্গে অ্যাম্বুল্যান্সের মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। অ্যাম্বুল্যান্সটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।” পিছনের গাড়ির লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা মিলে আহতদের উদ্ধার করে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে দিলীপবাবু ও ব্রজগোপালকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। নন্দকুমারের সার্কেল ইনস্পেক্টর পার্থ স্যানাল বলেন, “দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। বাসের চালক-খালাসি পলাতক। বাসটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|