|
|
|
|
‘টেট’ নিয়ে আজ অনশন ছাত্র পরিষদের |
পঞ্চায়েত ভোটের অপেক্ষায় না থেকে কর্মসূচি কংগ্রেসের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘মানুষের কাছে পৌঁছতে’ এ বার লাগাতার রাজনৈতিক কর্মসূচি নিল কংগ্রেস। সঙ্গে আন্দোলনে নামছে যুব কংগ্রেস ও ছাত্র পরিষদও। আন্দোলনের রূপরেখা নির্ণয় করতে রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেসের বৈঠক ডাকা হয়েছিল জেলা কংগ্রেস ভবনে। উপস্থিত ছিলেন সবংয়ের বিধায়ক তথা প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি মানস ভুঁইয়া। ছিলেন কৃষ্ণা দেবনাথ, খালিদ ইবাদুল্লা, অনুপ্লব ঘোষের মতো প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বও।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় নির্ভর করছে আদালতের নির্দেশের উপর। কিন্তু তার অপেক্ষায় না থেকে জেলার সাংগঠিক পরিস্থিতির বিচার করতেই কংগ্রেসের রবিবারের এই বৈঠক। মানসবাবুর নির্দেশ, ১৫ দিনে জেলার ২৯টি ব্লকে গিয়ে বৈঠক করতে হবে। যেখানে জেলা সভাপতি স্বপন দুবের সঙ্গে যাবেন কৃষ্ণাদেবী, খালেদ ইবাদুল্লা, অনুপ্লব ঘোষেরা। একজন প্রদেশ নেতৃত্বের সঙ্গে জেলা কংগ্রেসের পদাধিকারীরাও থাকবেন। ব্লক নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সাংগঠনিক পরিস্থিতি দেখাপ সঙ্গেই পঞ্চায়েত নিয়ে প্রস্তুতিও কতটা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। তারপরেই প্রকাশ্য সভা, সমাবেশের পথে যাবে কংগ্রেস। সেখানে কী বলবেন? জবাবে মানসবাবু বলেন, “মানুষের কাছে তথ্য দিয়ে বলব, কোন দল কী করেছে। আর কংগ্রেস কী করতে চাইছে। রাজ্য সরকার বলছে, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেব না। অথচ,
জঙ্গলমহল কেন শান্ত? কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্যই।” তিনি আরও বলেন, “ঘরে বসে থেকে রাজনীতি নয়। মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে।” বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএমের সন্ত্রাসের কারণে কংগ্রেস প্রার্থী দিতে পারেনি বলে অভিযোগ। কিন্তু সর্বত্রই কী সন্ত্রাসের কারণে প্রার্থী দেওয়া যায়নি? কংগ্রেস নেতৃত্ব স্বীকার করে নিয়েছেন যে, কিছু ক্ষেত্রে সাংগঠনিক দুর্বলতাও এর কারণ। এ বার যাতে সে ধরনের সমস্যা না হয় সে জন্যই প্রস্তুত হতে চাইছে কংগ্রেস।
আগামী ২৩ এপ্রিল প্রতিটি জেলাতেই আইন অমান্য করবে কংগ্রেস। একই সঙ্গে ছাত্র পরিষদ ও যুব কংগ্রেসও আন্দোলনে নামছে। আজ, সোমবার থেকেই সংগঠনের জেলা সভাপতি মহম্মদ সাইফুলের নেতৃত্বে ২০ জন ছাত্র পরিষদ সমর্থক প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সামনে অনশনে বসবেন। সংগঠনের দাবি, প্রাথমিক টেট পরীক্ষায় যাঁরা পরীক্ষা দিতে পারেননি তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত জানাতে হবে সরকারকে। আর ভুঁইফোঁড় অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, আমানতকারীদের অর্থ ফেরতের-সহ নানা দাবি জানিয়ে দেওয়া হবে স্মারকলিপিও।
মানসবাবু বলেন, “এই সব চিট ফান্ডগুলি আদৌ নিয়ম মেনে চলছে কি না তা রাজ্য সরকার দেখুক। না হলে ভবিষ্যতে এই ধরনের সংস্থাগুলির জন্য সাধারণ মানুষকে আরও বড় বিপদে পড়তে হবে।” |
|
|
|
|
|