পুণে ওয়ারিয়র্সে আর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় নেই। কিন্তু অন্য অধিনায়কের দাদাগিরি-ই বা কোথায়? গত আইপিএলে পুণে যখন পরের পর ম্যাচ হারছিল, সৌরভকে নিয়ে কত সমালোচনা! কিন্তু এ বারও তো সাত ম্যাচে পাঁচটা হার হয়ে গেল ওদের! রবিবার কিংস ইলেভেন পঞ্জাবকে নয়ের ওপর আস্কিং রেট দিয়েও পুণে ম্যাচ রাখতে পারল না। মানছি দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভিড মিলার একটা অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেছে। একইসঙ্গে শেষ ওভারটা লুক রাইটের মতো মূলত একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডারকে দিয়ে পুণের করানোর মানে কী?
এ দিন আবার পুণের এ মরসুমের তৃতীয় অধিনায়কের আবির্ভাব ঘটল। প্রথম সাত ম্যাচেই তিনজন আলাদা ক্যাপ্টেন! ক্রিকেট মহলে রসিকতা চলছে, পুণের পয়েন্ট আর অধিনায়কের সংখ্যা প্রায় সমান! তা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউজ আর রস টেলরের থেকে অ্যারন ফিঞ্চের ক্যাপ্টেন্সিতে কিছু নতুনত্ব পেলাম না। পুণের ফ্র্যাঞ্চাইজি যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন, বিদেশি ছাড়া অধিনায়ক করবেন না তা হলে আলাদা কথা। নইলে এই দলে অধিনায়ক হওয়া উচিত যুবরাজ সিংহের। যুবরাজ যে লড়াই জিতে উঠেছে, ও বরং আরও বেশি করে টিমমেটদের কাছে একজন ‘ইন্সপায়ারিং’ চরিত্র হতে পারত। আর বিদেশি ক্যাপ্টেন রাখলেও পুণের উচিত স্টিভ স্মিথকে বাছা। এক) বিদেশিদের স্লটে টিমে ও অপরিহার্য। দুই) বিগ ব্যাশ-এ নেতৃত্ব দেওয়ার (সিডনি সিক্সার্স) অভিজ্ঞতা আছে।
এ দিন ফিঞ্চ বোলিং পরিবর্তনে বিরাট ভুল করেছে। শেষ ওভার, বিশেষ করে যখন দেখল ডেথ ওভারগুলোয় মিলার-মনদীপ জুটি অবিশ্বাস্য গতিতে রান তুলছে, পুণে অধিনায়কের উচিত ছিল ভুবনেশ্বর কুমারের একটা ওভার তুলে রাখা। এ রকম পরিস্থিতিতে শেষ ওভার সর্বদা ফিল্ডিং টিমের সেরা বোলার করে। কিন্তু ফিঞ্চ ভুবি-র কোটা আগেই শেষ করে ফেলেছিল। রাহুল শর্মা তিন ওভার করা সত্ত্বেও ওকে শেষ ওভারে আনল না। রাহুলের স্পিনেও হয়তো শেষ ওভারে ১৬ রান উঠত না।
পুণে ফ্র্যাঞ্চাইজি মনে হয় এমন কোনও গাছ চায় যেটা আজ পুঁতলে কাল ফল দেবে। কিন্তু সেটা যেমন অসম্ভব, তেমনই ওদের একজন করে নতুন ক্যাপ্টেন এনে তার থেকে চটজলদি রেজাল্ট পাওয়ার আশাও অবাস্তব। ভাল ফলের জন্য যেমন গাছটার লালনপালন দরকার, তেমনই একটা দলের ভাল পারফরম্যান্সের জন্য সেই টিমকে যত্ন করা উচিত। পুণে ম্যানেজমেন্টের মনে হয় সেই ধৈর্য নেই। ‘দাদা’ এখন পুণে ওয়ারিয়র্সের ধারেকাছে নেই। কিন্তু পুণে-দুর্গের আরও বিধ্বস্ত দশা!
|