স্যর ভিভিয়ান রিচার্ডস মেন্টর হিসেবে দিল্লি টিমে যোগ দেওয়ার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে সহবাগরা ডেয়ারডেভিলস! আইপিএল সিক্সে সাত নম্বর ম্যাচে এসে প্রথম জয় পাওয়ার পর রবিবার কোটলায় বীরেন্দ্র সহবাগ বলে দিলেন, “ভিভের টোটকা আমাদের দলকে এই বিশ্রী অবস্থা থেকে টেনে বার করতে অনেক সাহায্য করল।”
সেটা কী রকম? মালিঙ্গা-হরভজনদের ঠেঙিয়ে ৫৭ বলে অপরাজিত ৯৫ করে ফেরা সহবাগ ম্যাচের সেরার চেক নিয়ে বলছিলেন, “টানা ছ’টা ম্যাচ হারার পর মাঠে নামলে হারের একটা ভয় মনের ভেতর থাকেই। কিন্তু স্যর ভিভ আমাদের বলে দিয়েছিলেন, সেই ভয়টা যেন আমরা বিপক্ষকে বুঝতে না দিই। উল্টে মস্তানি দেখিয়ে ওদের বোঝাতে হবে, আমরা কাউকে পাত্তা দিচ্ছি না। এটাই আমাদের শক্তি হয়ে উঠবে। আর এ দিন সেটাই হল।” |
মাস্টারের ক্লাসে: সহবাগদের টিপস ভিভের। |
তা হলে কি সহবাগেরও এ দিন ক্রিজে নামতে ভয় হচ্ছিল? বীরেন্দ্র সহবাগের? ‘ভারতের ভিভে’র এ বার হেসে জবাব, “সবটাই ভড়কিবাজি। তবে সেটা কী, আপনারা ভাবুন।” মাত্র পাঁচ রানের জন্য চলতি আইপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি করা আটকে গেলেও সহবাগ বললেন, “আমার ব্যাটে যে ম্যাচে বড় রান আসে, সেই ম্যাচটা আমি চেষ্টা করি নিয়ন্ত্রণ করতে। লক্ষ্য থাকে খেলাটা শেষ করে ফেরা। ব্যাপারটা আমি উপভোগ করি। আজ আমার ঠিক সে রকম একটা দিন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ১৬১ তাড়া করতে নেমে আমাদের গেমপ্ল্যান ছিল, ওপেনারদের মধ্যে কেউ এক জন বড় ইনিংস খেলে দলকে টানা হার থেকে বার করে আনবে। সেখানে আমাদের নতুন ওপেনিং জুটিই বড় রান পেয়ে যাওয়ায় জেতাটা আরও সহজ হল।” |
মাস্টারের সঙ্গে: কোটলায় ভিভ ও সচিন। |
হতাশ মুম্বই ক্যাপ্টেন রিকি পন্টিং বলে দিলেন, “সহবাগ ব্যাটে ঝড় তুলে ম্যাচটা আমাদের থেকে কেড়ে নিয়ে গেল। না হলে টার্গেট হিসেবে ১৬২ মোটেও সহজ ছিল না।” সচিন-পন্টিংদের পরের স্টেশন কলকাতা। এবং ইডেনেও হয়তো একই একাদশ নিয়ে নামবে মুম্বই। “বছরের এই সময় এখানে বল বেশি সুইং করছে না। সে জন্য জানি না, মিচেল জনসনকে না খেলানোটা ফ্যাক্টর কিনা। তবে আমরা পরপর দু’টো ম্যাচ হারলাম। কলকাতায় উঠে দাঁড়ানোই আমাদের এখন লক্ষ্য,” বললেন পন্টিং।
|