কোনও স্টেডিয়াম তো নেই-ই, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আরামবাগ মহকুমার বহু খেলার মাঠ নষ্ট হচ্ছে। এ নিয়ে আক্ষেপের শেষ নেই ক্রীড়াপ্রেমীদের। এই অবস্থায় তাঁদের মুখে কিছুটা হাসি ফুটিয়েছে আরামবাগ পুরসভার উদ্যোগ। স্থানীয় কালীপুরে একটি দিঘি-সংলগ্ন ১০ বিঘা জমিতে আরামবাগ পুরসভার উদ্যোগে গড়া হচ্ছে আবাসিক ক্রীড়াঙ্গন। আগামী বছরের গোড়াতেই তা চালু করার পরিকল্পনা আছে পুরসভার।
পুরপ্রধান গোপাল কচ বলেন, “পুরসভাই আবাসিক ছেলেদের থাকা-খাওয়ার খরচ বহন করবে। তাদের পড়াশোনার দায়িত্বও নেওয়া হবে। স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া (সাই) থেকে প্রশিক্ষক আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।”
পুরসভা সূত্রের খবর, বছর দশেক আগে বসন্তপুর মাঠে স্টেডিয়াম তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কিন্তু নানা কারণে তা আলোর মুখ দেখেনি। এ বার পুরসভা নিজস্ব তহবিল থেকে ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কালীপুরের ওই জমিটি কেনে। বছর দু’য়েক আগে শুরু হয় নির্মাণ। প্রস্তাবিত ক্রীড়াঙ্গনে রাজ্যের নানা প্রান্তের কিশোরদেরও সেখানে রেখে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী বিজয় মোদকের নামে ক্রীড়াঙ্গনের নাম হবে, ‘বিজয় ক্রীড়াঙ্গন’। |
এই সেই মাঠ।—নিজস্ব চিত্র। |
পুরসভা থেকে প্রস্তাব পেয়ে আরামবাগের সাংসদ সিপিএমের শক্তিমোহন মালিক এবং রাজ্যসভার সাংসদ তথা সিটু-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তপন সেন তাঁদের সাংসদ তহবিল থেকে প্রায় সাড়ে ৪৩ লক্ষ টাকা দেন। সেই টাকায় মধ্যে পুরো জায়গাটি পাঁচিল দিয়ে ঘেরা হয়েছে। ২৫০০ বর্গফুট জায়গায় তৈরি হয়েছে একতলা ভবন। তৈরি হবে জিমন্যাসিয়াম। কেনা হবে সরঞ্জাম। পুরসভার এই উদ্যোগে পাশে থাকার আশ্বাস দেন তৃণমূল নেতৃত্বও।
মহকুমার প্রাক্তন ফুটবলার নয়ন তরফদার বলেন, “খুব ভাল উদ্যোগ। এর ফলে গ্রামের অনেক প্রতিভা উঠে আসবে।” জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক অমিত পাল বলেন, “এই জেলায় ভাল স্টেডিয়াম নেই। ক্রীড়াঙ্গন গড়ার কাজে আরামবাগ পুরসভা যে ভাবে পথ দেখাল তাতে অন্য পুরসভাগুলিও উদ্বুদ্ধ হবে।” মহকুমার নষ্ট হতে বসা খেলার মাঠগুলি ১০০ দিনের প্রকল্পে সংস্কারের পরিকল্পনা হয়েছে বলে জানান মহকুমাশাসক অরিন্দম রায়। |