|
|
|
|
উত্তর পূর্বে বিশ্বব্যাঙ্ক |
আধুনিক বিদ্যুত্ পরিবহণে ৮ হাজার কোটির ঋণ প্রকল্প |
আশিস বসু • আগরতলা |
বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তায় উত্তর-পূর্বাঞ্চল রাজ্যগুলির বিদ্যুত্ পরিবাহী ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ হতে চলেছে। ১৫০০ মিলিয়ন ডলার (৮১০০ কোটি টাকা) মূল্যের এই প্রকল্পের এক-তৃতীয়াংশ দেওয়া হবে প্রথম পর্যায়ে। বিশ্বব্যাঙ্কের এই নীতিগত সম্মতির কথা ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির মন্ত্রীদের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠকে বিশ্বব্যাঙ্কের প্রতিনিধিরা জানিয়ে দিয়েছেন।
ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুত্ নিগমের এমডি নীলাদ্রিশেখর চক্রবর্তী জানান, আগামী ৫-৬ মাসের মধ্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যের সাবেক বিদ্যুত্ পরিবাহী লাইনের আধুনিকরণের কাজ শুরু হয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক টেন্ডার ডেকে এ কাজের বরাত দেওয়া হবে। তার জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে।
এখনও মান্ধাতা আমলের বিদ্যুত্ পরিবাহী ব্যবস্থার সাহায্যে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির আন্তঃরাজ্য বিদ্যুত্ পরিবহণ চলছে। অতিরিক্ত বিদ্যুতের প্রয়োজন হলেও বর্তমান দুর্বল পরিবাহী ব্যবস্থার মাধ্যমে একটি রাজ্য একই সময়ে বেশি পরিমাণ বিদ্যুত্ পড়শি রাজ্য থেকে বা জাতীয় গ্রিড থেকে নিতে পারে না। একই ভাবে একটি রাজ্য অন্য রাজ্যে বিদ্যুত্ পাঠাতেও পারে না একই কারণে। তা ছাড়া, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির নিজস্ব বিদ্যুত্ পরিবাহী ব্যবস্থাও বহু পুরনো এবং দুর্বল। ফলে সমস্যা বহুবিধ। বিদ্যুত্ নষ্টও হয়। সামগ্রিক ভাবে এই দুর্বল বিদ্যুত্ পরিবাহী ব্যবস্থার খোলনলচে বদলে ফেলার জন্যই উদ্যোগী হয়েছিল উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি।
ভারত সরকারের মাধ্যমে ২০০৯ সালে বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির তরফে এই কারণে একটি ‘প্রকল্প রিপোটর্’ পাঠানো হয়। প্রকল্পটির জন্য ১৫০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চাওয়া হয়েছিল। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই বিশ্বব্যাঙ্ক এগিয়ে এসেছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিশ্বব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের কয়েকটি বৈঠক ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে বলে নীলাদ্রিবাবু জানান। বিশ্বব্যাঙ্ক প্রথম পর্যায়ে ৫০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে। বিদ্যুত্ পরিবাহী ব্যবস্থার আধুনিকরণের কাজ শেষ হয়ে গেলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির বিদ্যুত্ সঙ্কটও অনেকটাই কমে যাবে বলে তিনি আশা করেন। |
|
|
|
|
|