সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন কোথায় লুকিয়ে আছেন, সংস্থার ডিরেক্টর মনোজকুমার নেগেল তা জানেন বলে রবিবার আদালতে দাবি জানালেন সরকার পক্ষের আইনজীবী। তদন্তের স্বার্থে ধৃতকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয় বিধাননগরের এসিজেএম আদালত।
এ দিন সকালে এজলাসে ঢোকার আগে অভিযুক্ত মনোজকুমার সাংবাদিকদের বলেন, “সাত মাস ধরে ওই সংস্থার এক কর্মী হিসেবে কাজ করতাম। কিন্তু সেটির এক ডিরেক্টরও যে আমি, তা একেবারেই জানা ছিল না। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।” সারদা-র কর্ণধার সুদীপ্তবাবু এবং অন্য এক উচ্চপদস্থ কর্মী দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি। শনিবার বিকেলে মনোজবাবুকে গ্রেফতার করেছিলেন বিধাননগর পুলিশের গোয়েন্দারা। |
আদালতের পথে মনোজকুমার নেগেল। রবিবার।—নিজস্ব চিত্র। |
কোর্টে সরকারি কৌঁসুলি সাবির আলি বলেন, সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার কোথায় লুকিয়ে রয়েছেন, ধৃত ব্যক্তি তা জানেন। জেরায় তিনি সে কথা জানিয়েছেন। পলাতক সুদীপ্ত সেনকে খুঁজে বার করতে ধৃতকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখা জরুরি। মনোজ নেগেলের আইনজীবী সৌম্যজিৎ রাহার দাবি, তাঁর মক্কেল পুলিশকে সাহায্যই করতে চান। তা জানাতে কমিশনারেটের অফিসেও গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ওই আইনজীবীর বক্তব্য, যে সংস্থার কর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেটির সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্কই নেই।
সৌম্যজিৎবাবু বলেন, অভিযোগকারীদের তরফে পুলিশকে জানানো হয়েছে, ১৫ এপ্রিল সুদীপ্ত সেনের পক্ষ থেকে পাঠানো একটি ই-মেলে সংস্থা বন্ধের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছিল। তাঁদের সঙ্গে সমস্ত আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে একমাত্র স্বাক্ষরকারী সুদীপ্ত সেনই। সে সবের সঙ্গে মনোজবাবুর কোনও যোগাযোগ নেই। পুলিশও এ বিষয়ে কোনও প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারেনি বলে ওই নেগেলের আইনজীবী দাবি করেন। সরকারি আইনজীবী অবশ্য এই বক্তব্য মানতে চাননি। তিনি বলেন, সারদা গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত দু’টি সংস্থার ডিরেক্টর ধৃত ওই ব্যক্তি। সারদা গোষ্ঠীর অধীন একটি সংস্থার কর্মীদের অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে ধরা হয়েছে।
সারদা-র কর্ণধারের খোঁজে এ দিনও বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। সল্টলেকে তাঁর বাড়ি, অফিসে হানা দেন গোয়েন্দারা। পুলিশ সূত্রের খবর, ওই সংস্থার সঙ্গে কাদের ব্যবসায়িক যোগাযোগ ছিল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |