রানিগঞ্জে দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে তোপ তৃণমূল নেতার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানিগঞ্জ |
দলেরই কয়েক জনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুললেন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের রানিগঞ্জের প্রাক্তন সভাপতি খলিলুর রহমান।
শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে খলিলুর রহমান এই সব অভিযোগ তোলেন। বৈঠকের সময়ে তাঁর পাশে ছিলেন তৃণমূলের আসানসোল মহকুমা শিক্ষা সেলের চেয়ারম্যান অসীম ঘটক। খলিলুর অভিযোগ করেন, বিধায়ক সোহরাব আলির ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি বার্নপুর থেকে এসে রানিগঞ্জে এসে কয়লা ও লোহার কারবারে তোলাবাজি করছিল। তাতে ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ায় দলের উচ্চ নেতৃত্বের সহায়তায় ওই ব্যক্তিকে রানিগঞ্জ থেকে সরানো হয়। কিন্তু তার পরে দলের কাজকর্ম দেখাশোনার জন্য সোহরাব আলির ঘনিষ্ঠ আর এক জন রানিগঞ্জে এসেছেন। সেই ব্যক্তির মদতে লোহা ও কয়লা চুরি এবং নানা রকম তোলাবাজি চলছে বলে খলিলুরের অভিযোগ।
খলিলুর আরও অভিযোগ করেন, জমি দখল, পুকুর ভরাট করার চেষ্টা করছে তৃণমূলে নবাগত কিছু লোকজন। তাঁর কথায়, “বিধায়ক উন্নয়ন কমিটি গঠন করলেও এ পর্যন্ত কোনও উন্নয়ন হয়নি। দিল্লিতে অমিত মিত্রকে নিগ্রহের পরে সিপিএম অফিসগুলি যারা ভাঙচুর করেছেন তাঁরা কেউ তৃণমূলের পুরনো কর্মী নন। সবাই রাজ্যে সরকার পরিবর্তনের পরে দলে এসেছে।”
খলিলুরের আরও দাবি, “পুলিশ কমিশনার কিছু দিন আগে রানিগঞ্জের একটি অনুষ্ঠানে এসে দাবি করেছেন, আসানসোল মহকুমায় অপরাধ কমছে। তা যে সত্য নয়, রানিগঞ্জ এলাকায় ঘুরলেই বোঝা যায়।” দলের মহকুমা শিক্ষা সেলের চেয়ারম্যান অসীমবাবু দাবি করেন, রানিগঞ্জে একাধিক স্কুলে শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি নির্বাচনে গোলমাল পাকিয়েছে দলেরই একাংশ। দলের উচ্চ নেতৃত্ব এ ধরনের কাজ অনুমোদন করে না। দলেরই কর্মীদের এ সব বন্ধে এগিয়ে আসার ডাক দেন অসীমবাবু।
রানিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সোহরাব আলির সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, “দলে পদ হারিয়ে ওঁরা ভুল বকছেন। এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।” দলের রানিগঞ্জ ব্লক সভাপতি সেনাপতি মণ্ডল বলেন, “অসীমবাবুরা কিছু বলতেই পারেন। তার সঙ্গে দলীয় বিষয়ের কোনও সম্পর্ক থাকতে পারে না।” পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দ বলেন, “কে কী বলছে, আমি জানি না। আমরা অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নিই।” |