দিল্লি-কাণ্ডের জেরে এ বার কোচবিহারেও বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। শনিবার কোচবিহারের সিতাই থেকে পুন্ডিবাড়ির ৫টি এলাকায় বামেদের ভাঙচুর হওয়া অফিস ঘুরে দেখেন সূর্যকান্তবাবু। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা তাঁকে কালো পতাকা দেখান। মাথাভাঙা নজরুল সদনে তিনি ফ্রন্টের কর্মিসভায় যোগ দেন। সেখানেও রাস্তা দখল করে কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তৃণমূল। আধ ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখানোর পরে তাঁরা চলে যায়। রাস্তায় শিলডাঙ্গাতে রাস্তার পাশে ‘সূর্যকান্ত মিশ্র গো ব্যাক’ স্লোগান লেখা একাধিক প্ল্যাকার্ডে ঝাড়ু ও কালো পতাকা ঝুলিয়ে রাখা হয়।
এ ব্যাপারে বিরোধী দলনেতা বলেন, “সরকারি গাড়ি। তার পরেও তা ঘিরে বিক্ষোভ হয়। জাতীয় পতাকা লাগানোর স্ট্যান্ড বেঁকিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি অভিযোগ করিনি। গায়ে হাত পড়ুক না পড়ুক, মুখ্যমন্ত্রীর মতো হাসপাতালে ভর্তি হতে চাই না।” স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল অবশ্য ওই ঘটনাকে জনরোষ হিসাবেই দাবি করেছেন। দলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের মন্তব্য, “সূর্যকান্তবাবু জনরোষের শিকার হয়েছেন। দিল্লিতে ওরা যা করেছেন তা ক্ষমার অযোগ্য। তার পরেও কোচবিহারের মানুষ যথেষ্ট সৌজন্য দেখান। বামেদের আমলে এমন হলে ছবিটা অন্য রকম হত।”
এ দিন প্রতিটি সভাতেই বিরোধী দলনেতা কর্মীদের চাঙ্গা করার ওপর সিংহভাগ সময় খরচ করেছেন। দলের নেতা-কর্মীদের তাঁর পরামর্শ, “যাঁরা সিপিএম অফিস ভেঙেছেন, তাঁরাই একদিন অফিসে আসবেন। শুধু বিনীতভাবে তাঁদের কাছে যেতে হবে। পুলিশকে গালাগাল দেবেন না। পুলিশ তো চালাচ্ছেন উনি। কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি, কোনও কমিশনারের নিরাপত্তা নেই।”
|