অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থার পরিকাঠামো উন্নত করছে কলকাতা পুরসভা। ১৪৪টি ওয়ার্ডে মেডিক্যাল অফিসারের পাশাপাশি এখন থেকে এক জন করে কর্মী মশক নিয়ন্ত্রণ কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকবেন। একই ভাবে পুরসভার ১৫টি বরো কমিটির দফতরেও থাকছেন এক জন করে মশা নিয়ন্ত্রণ কাজের পরিদর্শক।
এ ছাড়া মশাবাহিত রোগের জীবাণু প্রতিরোধক ব্যবস্থায় বাড়ানো হচ্ছে পুর-স্বাস্থ্য দফতরের র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের সংখ্যা। শনিবার পুর-স্বাস্থ্য দফতরের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, এত দিন মহানগরীতে কাজ করত মশার লার্ভা চিহ্নিতকরণে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের নিয়ে গঠিত পুর-স্বাস্থ্য দফতরের ৪টি কেন্দ্রীয় র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স। মশার লার্ভা চিহ্নিতকরণে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের নিয়ে আরও দু’টি নতুন কেন্দ্রীয় র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স গড়া হয়েছে। প্রতি বরোয় গঠিত হয়েছে ছয় সদস্যের একটি করে ফোর্স। এর ফলে শহরে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির জীবাণুবাহক মশার বিরুদ্ধে আরও জোরদার লড়াইয়ে নামা যাবে বলে পুরকর্তাদের দাবি।
মশাবাহিত রোগের জীবাণু প্রতিরোধক ব্যবস্থা জোরদার করতে শনিবার দফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন পুরসভার স্বাস্থ্য-কর্তারা। পুরসভার পতঙ্গবিদ দেবাশিস বিশ্বাস জানান, মশক নিয়ন্ত্রণ কমর্সূচি তো আরও জোরদার হচ্ছেই। পাশাপাশি শহরের কোনও এলাকায় ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গির মতো মশাবাহিত রোগ সংক্রমণের খবর পাওয়ার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে পুর-কর্মীরা যাতে রোগ-আক্রান্ত এলাকায় পৌঁছতে পারেন, সেই পরিকাঠামোও গড়ে তোলা হয়েছে। এর জন্য পুরসভার মোট ২১টি র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্সের জন্য আলাদা গাড়ির ব্যবস্থাও থাকছে। |