চার্চিল-বধে ইস্টবেঙ্গলকেও পাশে চান করিম
ই লিগের সবচেয়ে আকর্ষক ম্যাচ খেলতে নামার চব্বিশ ঘণ্টা আগে কল্যাণীতে সবুজ এবং লাল সঙ্কেত পৌঁছে গেল মোহনবাগান ও চার্চিল হোটেলে।
পুণে এফ সি শনিবার হাফ ডজন গোল দিল এয়ার ইন্ডিয়াকে। ফলে করিম বনাম সুভাষ যুদ্ধের আগে বদলে গিয়েছে অনেক অঙ্ক।
করিম বেঞ্চারিফার টিমের জন্য অবনমন বাঁচানোর সিগনালটা নিশ্চিত হয়ে গেল। কারণ লিগ টেবিলে এয়ার ইন্ডিয়ার অবস্থা আরও খারাপ হল।
পাশাপাশি পুণে এফ সি ছুঁয়ে ফেলল ইস্টবেঙ্গলকে (৪৩)। সুভাষ ভৌমিকের কাছে টিমের কাছে যা লাল সঙ্কেত। কারণ চ্যাম্পিয়নের লড়াইতে এখন শুধু ট্রেভর মর্গ্যান নয়, ডেরেক পেরিরাও ‘শত্রু’ চার্চিলের।
অস্ট্রেলিয়া থেকে ছুটি কাটিয়ে মর্গ্যান শনিবার মালয়েশিয়ায় টিমের সঙ্গে যোগ দিলেন। সাহেব কোচ এবং তাঁর পুরো টিমের মন কিন্তু আজ রবিবার পড়ে থাকবে কলকাতায়। কারণ ম্যাচটার সঙ্গে তাদেরও ভাগ্য জড়িত। বাংলা ফুটবলে সম্ভবত প্রথমবার ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা চাইছেন, ওডাফা-টোলগেরা জিতুন। চার্চিল ৪৮ পয়েন্টে আটকে থাক।
“কাল দেখতে চাই আমাদের সমর্থকদের সঙ্গে অন্যরাও মাঠ ভর্তি করে খেলা দেখতে আসুক,’ বলার সময় মজার হাসি হাসেন মোহন- কোচ। বুঝতে অসুবিধা হয় না, চতুর করিম লড়াইটা নিয়ে যেতে চাইছেন পুরোপুরি বাংলা বনাম গোয়ার বড় ক্যানভাসে।

বাগানের অনুশীলনে টোলগে-সুশান্ত। ছবি: উৎপল সরকার
কিন্তু সেটা তিনি পারছেন কই? চার্চিল ব্রাদার্সের রিজার্ভ বেঞ্চে যিনি কোচ হয়ে বসবেন তিনি তো নিখাদ বাঙালিসুভাষ ভৌমিক। এবং যিনি বঙ্গসন্তান কোচ হিসাবে চমকপ্রদ রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে। যদি গোয়ার পারিবারিক দলটিকে তিনি এ বার আই লিগ দিতে পারেন তা হলে, তিনিই হবেন প্রথম কোচ যিনি বাংলার বাইরে গিয়ে কোনও ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন। সেখানে গোয়া-বাংলা তত্ত্ব কতটা কাজে দেবে বলা মুশকিল। নিট ফল, দুই কোচের ধুন্ধুমার ট্যাকটিকাল একটা মস্তিষ্ক-যুদ্ধ দেখার অপেক্ষায় থাকতেই পারেন ফুটবলপ্রেমীরা।
চালটা শুরু হয়েছে চব্বিশ ঘণ্টা আগে থেকেই। চোট সারিয়ে ফেরা টিমের প্রাণভ্রমরা বেটোকে মাঠে নামাবেন জানিয়ে দিয়েছেন চার্চিল কোচ। শুনে করিম হেসেছেন। কিছুটা অবিশ্বাস নিয়েই বলেছেন “বেটো নামবে? ইজ ইট ট্রু।” মুখটা দেখে মনে হল, এসব গুগলি তিনি অনেক সামলেছেন। মরোক্কান কোচের মন্তব্য, “ইচে নেই বলে ভাবছি না। কারণ গোয়ায় যে ম্যাচে (স্পোর্টিং ক্লুব) সবচেয়ে বেশি গোলে জিতেছি, ইচে সেখানে কিন্তু খেলেনি।” করিমের মুখ থেকে বেরিয়েছে, “ডেম্পোর বিরুদ্ধে চার্চিল প্রথম কুড়ি-পঁচিশ মিনিট কেমন টেনশনে ছিল দেখেছি।” সুভাষ ভৌমিক স্বীকার করেছেন, “আমরা খেতাবের খুব কাছে আছি। চাপ তো থাকবেই।”
করিম এবং সুভাষের মধ্যে সম্পর্ক বরাবরই ‘মধুর’। এ দিন কেউ অবশ্য কেউ কারও সম্পর্কে ‘সেরকম’ কিছু বলেননি। সকালে নিজেদের মাঠে করিম অনুশীলন শুরু করেছিলেন, ফুটবলারদের ‘হাততালি’ দিয়ে। টোলগে-ওডাফা, নবি-নির্মলরা লাফিয়ে লাফিয়ে একে অন্যের সঙ্গে তালি দিয়েছেন। কল্যাণীতে সুভাষের অনুশীলনে ছিল চাপ-মুক্ত আবহাওয়া অবস্থা দেখানোর চেষ্টা।
ওডাফা-টোলগে জুটিকে আটকাতে সুভাষ নিজের রক্ষণকে আটোসাঁটো করেছেন। মাঝমাঠে স্ট্র্যাটেজি বদলাচ্ছেন। করিম আবার টিম মিটিংয়ে বলেছেন, “সুয়েকা যদি ডেম্পোর রক্ষণ ভাঙে তা হলে আমরা কেন পারব না?” সে জন্যই রহিম নবি রাইট ব্যাক হয়ে গেলেও তিন স্ট্রাইকার থেকে পিছু হটছেন না করিম। অন্য দিকে সুভাষ আস্থা রাখছেন হেনরি-সুনীলের উপরই। ৪-৪-২ এ।
টানা এগারো ম্যাচে অপরাজিত করিম ব্রিগেড জিততে মরিয়া। সুভাষের টিমের পরিসংখ্যানও চমকে দেওয়ার মতোএখনও বাইরের কোনও ম্যাচ কিন্তু হারেনি চার্চিল। সবমিলিয়ে হেরেছে ২৩ ম্যাচে মাত্র তিনটি। দেখার, শেষপর্যন্ত কার ট্র্যাক রেকর্ড অক্ষত থাকে?




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.