পাঠান-ফাটকা কিন্তু ঠিকই ছিল গম্ভীরের
দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে অধিনায়ক-কোচেদের নানা ফাটকা খেলাটা নতুন কোনও ব্যাপার নয়। কিছু ক্লিক করে, কিছু করে না। ইউসুফ পাঠানকে ওপেন করতে পাঠিয়ে শনিবার গৌতম গম্ভীর যে ফাটকাটা খেলেছিল, সেটা কিন্তু ঠিকই ছিল।
ক্যাপ্টেনের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কোনও অস্বাভাবিক ব্যাপার নেই। ইউসুফ যেখানে ফর্মে নেই, সেখানে শুরুতে ব্যাট করার সুযোগ করে দেওয়া মানে ওকে আরও কিছুটা ‘স্পেস’ দেওয়া। যাতে ও বেশি চাপ না নিয়ে রানে ফিরে আসতে পারে। একজন ব্যাটসম্যানের রানের মধ্যে থাকাটাই তো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। ইউসুফ রান আউট হওয়ার আগে পর্যন্ত রানটা ভালই উঠছিল।

ছবিই যখন সব বলে দিচ্ছে। শনিবার ইডেনে।
বরং বলব, এই ফর্ম্যাটে যে কোনও ফাটকাই বিপক্ষের ওপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। হঠাৎ করে বিপক্ষের প্ল্যান ভেস্তে দেওয়ার পক্ষে এমন ফাটকা যথেষ্ট। কিন্তু এটাও মনে রাখতে হবে, ধোনি ভারতীয় অধিনায়ক। ক্রিকেটের বুদ্ধিতে ও কৌশলে ওকে কাত করা অত সোজা নয়। তা ছাড়া এ বারের গোটা আইপিএলেই যেখানে বোলাররা মারকাটারি পারফরম্যান্স দেখিয়ে যাচ্ছে, সেখানে ফর্মে ফিরতে চাওয়া কোনও ব্যাটসম্যান ম্যাচের শুরুতে নেমেই আসর মাতিয়ে দেবে, এমন ভাবনা ভাবাটাই বেশ কষ্টের কাজ। পাঠান কিন্তু কষ্টের কাজটা খারাপ করছিল না। ওর ভাগ্যটা খারাপ। গম্ভীরেরও।
ছ’বছর আগে আইপিএল যখন শুরু হয়েছিল, তখন ব্যাটসম্যানদের দাপট দেখে সবাই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। ‘এন্টারটেইনমেন্ট কা বাপ’ ট্যাগ-টার সঙ্গে বেশ মানিয়ে গিয়েছিল তখনকার খেলাটা। কিন্তু এই সে দিন পরিসংখ্যানটা পেয়ে একটু চিন্তিতই হয়ে পড়লাম। পাঁচ বছর ধরে আইপিএলে ব্যাটসম্যানদের রানের গড় ক্রমশ কমছে। এ বার তার কারণটা ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। বোলাররা বুঝে নিয়েছে, তাদের এই ক্রিকেটে টিকে থাকতে হলে নতুন কিছু করে দেখাতেই হবে। এবং তারা সেটাই করে দেখাচ্ছে।
ওয়াইড ইয়র্কার, স্লো বাউন্সার এ সব এত ঘন ঘন দেখেছেন কখনও? এ বারের আইপিএলের সৌজন্যে এ সব দেখা যাচ্ছে।

ফাটকা কাজে লাগল না গৌতম গম্ভীরের। রান আউট হয়ে ফিরছেন পাঠান। শনিবার ইডেনে।
আইপিএলের বোলাররা এখন অনেক বেশি স্মার্ট। ব্যাটসম্যানদের কী করে আটকে রাখতে হবে, তা এখন জানা হয়ে গিয়েছে ওদের। এমন এমন সব বল করছে ওরা, যা কস্মিনকালে দেখা যায়নি। আমাদের পুণে দলেরও তো একই সমস্যা। আমাদের ব্যাটসম্যানরাও একেবারেই ক্লিক করছে না। রবিবার মোহালিতে এই জায়গাটা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে আমরা বেশ সমস্যায় পড়ে যাব। কেকেআরের মতোই দশা আমাদের। এখনই জয়ে না ফিরলে শেষের দিকে আমাদের শুধু নিয়মরক্ষার ম্যাচ খেলতে হবে।
কেকেআরের মিডল অর্ডারের দুর্দশাটা আবার দেখা গেল ইডেনে। তবে ইডেনের লো, স্লো উইকেটটা এ দিনের লো স্কোরিং ম্যাচের জন্য অনেকটা দায়ী। কেকেআর যেমন ৪৬-০ থেকে ৫৫-৪ হয়ে যায়, তেমন ধোনি যখন ডাগ আউটে ফিরে গেল, তখন চেন্নাইয়ের স্কোরবোর্ডে ৫৪-৪।
তবে উইকেটের পাশাপাশি দু’দলের বোলারদেরও কৃতিত্ব দিতে হবে। পিচের চরিত্র বুঝে বলটা করে ব্যাটসম্যানদের ক্রমাগত চাপে রেখে গিয়েছিল। বোলারদের মানসিকতাটাই তো এখন বদলে গিয়েছে। আগে রান বাঁচানোর জন্য নামত ওরা। এখন উইকেট তোলার জন্য নামে। এটাই এখন বোলারদের ‘হিট’ স্ট্র্যাটেজি। মনে হচ্ছে এ বার বোলাররাই ‘হিট’ হয়ে যাবে।

ছবি: উৎপল সরকার




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.