|
|
|
|
জেপিসি নিয়ে ক্ষোভ, আক্রমণে এনডিএ
নিজস্ব প্রতিবেদন |
টুজি স্পেকট্রাম কেলেঙ্কারি নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটির (জেপিসি) খসড়া রিপোর্টে অটলবিহারী বাজপেয়ীর নাম থাকায় ক্ষুব্ধ এনডিএ। সংসদের চলতি অধিবেশনে তাঁরা এর পর বিভিন্ন প্রশ্নে ইউপিএ সরকারকে কোণঠাসা করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এনডিএ নেতারা।
বাজপেয়ী জমানাতেই তৈরি হয়েছিল মূল টুজি স্পেকট্রাম বণ্টন নীতি। জেপিসি-র খসড়া রিপোর্ট অনুযায়ী, জেনে শুনেই টুজি স্পেকট্রাম বণ্টনের ক্ষেত্রে কোষাগারের ক্ষতি হতে দিয়েছিলেন বাজপেয়ী। এনডিএ নেতাদের মতে, বাজপেয়ী এখন অসুস্থ। তাঁর নামে এই অভিযোগ আনতে কংগ্রেসের আপত্তি নেই। অথচ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমকে প্রশ্ন না করেই তাঁদের ‘ক্লিন চিট’ দিয়ে দেওয়া হল। প্রাক্তন টেলিকমমন্ত্রী এ রাজাকেও জেপিসি-র সামনে হাজির হতে বলা হল না।
আজ লালকৃষ্ণ আডবাণীর বাড়িতে বৈঠকে বসেন এনডিএ নেতারা। পরে জোটের পক্ষে এক বিবৃতিতে কড়া সমালোচনা করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের। এনডিএ-র অভিযোগ, স্বাধীনতার পরে এত দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার দেশে আসেনি। প্রধানমন্ত্রী কিছু না দেখা, না শোনার ভান করেন। ফলে সঙ্কটের পূর্বাভাস পাওয়া গেলেও তিনি কোনও ব্যবস্থা নেন না। প্রধানমন্ত্রীর আচরণে ভয়, দিশাহারা অবস্থা ও নেতৃত্বগুণের অভাব ফুটে বেরোচ্ছে।
বিরতির পরে ২২ এপ্রিল ফের বসবে সংসদের অধিবেশন। আডবাণী জানিয়েছেন, কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রথমেই সরব হবেন তাঁরা। কয়লা কেলেঙ্কারি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে গোপন রিপোর্ট দেওয়ার কথা ছিল সিবিআইয়ের। সেই রিপোর্ট আইনমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার বদলের চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জেপিসি রিপোর্ট নিয়ে সুর চড়িয়েছেন বামেরাও। সিপিআই সাংসদ গুরুদাস দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, কমিটিতে যাতে ওই রিপোর্ট পাশ না হয়ে যায় সে জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করবেন বামেরা। এবং এই কাজে তিনি পাশে চাইছেন তৃণমূলকে। গুরুদাসবাবু জানিয়েছেন, এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন তিনি। |
|
|
|
|
|