জল নিয়ে সমস্যা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে
নিজস্ব সংবাদদাতা • অন্ডাল |
পরিস্রুত পানীয় জলের অভাব এতটাই বেড়েছে যে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের জন্য বাড়ি থেকে জল নিয়ে আসতে হচ্ছে তার পরিবারের লোকেদের। এমনই দশা অন্ডাল ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। বিএমওএইচ জানান, তিনি সিএমওএইচ থেকে বিধায়ক সবাইকেই সমস্যার কথা জানিয়েছেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ শয্যার এই হাসপাতালে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের একটি নলকূপ আছে। তবে তা নাম কে ওয়াস্তে। মাসে দু’দিনের বেশি সেই নলকূপ থেকে জল মেলে না বলে অভিযোগ। এছাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রাঙ্গণে একটি কুয়োও আছে। ইসিএল একটি খনির জল পাইপ লাইনের মাধ্যমে সেই কুয়োয় ফেলে। কিন্তু উপায় না থাকায় ওই জলই স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা ব্যবহার করেন। বিএমওএইচ ধীমান মণ্ডল জানান, ওই জল স্নান এবং খাওয়ার জন্য ব্যবহার করলে ডায়েরিয়া, চর্মরোগ অনিবার্য। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আনুষাঙ্গিক কাজও ওই জলেই করা হয়। ধীমানবাবুর দাবি, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা নিয়মিত ওই জল পান না করার জন্য এলাকায় প্রচার করেন। তবে তাতে খুব একটা ফল মেলে না। তার উপর ক্রমেই গরম বাড়ায় খনি এলাকার অধিকাংশ পুকুরও শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়েই ওই কুয়োর জল ব্যবহার করছেন বাসিন্দারা। পেটের রোগও লেগেই থাকছে। এই পরিস্থিতিতে রোগীদের জন্য বাইরে থেকে জল আনা ছাড়া কোনও গতি থাকে না বলে দাবি তাঁর। হাসপাতালে ভর্তি মিনতি বাউরি, মিনু বিবি, মনোরমা দেবীরা বলেন, জল নিয়ে খুব সমস্যায় ভুগছি। একবার জল শেষ হয়ে গেলে আবার পেতে অনেক সময় লাগে। ততক্ষণ জল না খেয়েই থাকতে হয়। সিএমওএইচ দিলীপ মণ্ডল জানান, বিষয়টি কারিগরি দফতরের আওতাধীন। ওদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। এলাকার বিধায়ক সোহরাব আলি জানান, উখড়া পঞ্চায়েত এলাকায় জলের সমস্যা নিয়ে আগেও আলোচনা হয়েছে। তবে অজয় নদের জল নিয়ে জলপ্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হলে সমস্যা অনেকটাই কমবে।
|
চিকিৎসকের দাবি তৃণমূলের
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথপুর |
রঘুনাথপুর মহকুমা হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নয়ন, রঘুনাথপুর শহরে যান নিয়ন্ত্রণ ও রঘুনাথপুর-চেলিয়ামা রাস্তা সংস্কারের দাবিতে সরব হল তৃণমূল। শুক্রবার রঘুনাথপুর শহর তৃণমূল ও দু’টি শাখা সংগঠন মহকুমাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়। মহকুমাশাসক প্রণব বিশ্বাস বলেন, “তৃণমূলের দাবিগুলি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তৃণমূলের বক্তব্য, হাসপাতালে চিকিৎসকের অভাব রয়েছে। বিশেষ করে শল্য চিকিৎসকের অভাবে সমস্যায় পড়ছে রোগীরা। রঘুনাথপুর শহরে দিনের ব্যস্ত সময়ে ভারি যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণের দাবি রয়েছে। প্রসঙ্গত রঘুনাথপুর শহরের উপর দিয়ে গিয়েছে পুরুলিয়া-বরাকর রাজ্য সড়ক। ফলে দিনের বেলা ব্যস্ত সময়ে ভারি গাড়ি চলাচলের জন্য সমস্যায় পড়ে স্কুল পড়ুয়া থেকে অফিস যাত্রীরা। আগে দুর্ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় শহরের মধ্যে সকালের দিকে বড় গাড়ি চলাচলে নিয়ন্ত্রণ শুরুও করেছিল পুলিশ। তৃণমূলের অভিযোগ, এখন আগের অবস্থাই ফিরে এসেছে।
|
চিকিত্সার উদ্যোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
ক্ষীণদৃষ্টি সম্পন্ন ৩৮ জন খুদে পড়ুয়ার চিকিত্সার উদ্যোগ নিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সর্বশিক্ষা মিশন। শুক্রবার বালুরঘাট থেকে অভিভাবক সহ পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়ে হলদিয়া রওনা হলেন কর্তৃপক্ষ। সর্বশিক্ষা মিশনে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বিভাগের জেলা কোঅর্ডিনেটর সুস্মিতা ঘোষ বলেন, “জেলার ৮ ব্লকের শিশুশিক্ষা কেন্দ্র থেকে অষ্টম শ্রেণির ক্ষীণ দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন ২৩ জনকে এবং ১৫ জন ছাত্রীকে চিহ্নিত করে শল্য চিকিত্সা করানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।” হলদিয়া বিবেকানন্দ মিশন আশ্রম নেত্র নিরাময় নিকেতনে আগামী শনিবার ও রবিবার খুদেদের চোখে শল্য চিকিত্সা হবে।
|
পরীক্ষা-খরচে রাশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
এইচ ওয়ান এন ওয়ান ভাইরাসের পরীক্ষার জন্য এ বার বেসরকারি হাসপাতালের খরচ বেঁধে দিল রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য দফতরের মুখপাত্র অসিত বিশ্বাস শুক্রবার জানান, সরকারি কেন্দ্র নাইসেড-এর পাশাপাশি এখন থেকে বাইপাসের ডিসান হাসপাতালে এই পরীক্ষা করানো যাবে। আগে এতে ৯০০০ টাকা খরচ হত। সরকার এ বার তা ১৯০০ টাকায় বেঁধে দিল।
|
বাসন্তী পুজো উপলক্ষ্যে শুক্রবার কল্যাণীতে সম্প্রীতি ক্লাবের উদ্যোগে রক্তদান বিষয়ক এক আলোচনাচক্র অনুষ্ঠিত হয়। হাজির ছিলেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজের অ্যাসিট্যান্ট সুপার শিবপ্রসাদ দাস-সহ অন্যান্যরা। অন্য দিকে, ভার্সেস ক্লাবের পক্ষেও একই বিষয়ে আলোচনাচক্রের আয়োজন হয়।
|
শুক্রবার ধুবুরির ছাগলিয়ায় ট্রাকে তল্লাশি চালিয়ে ৩৬ হাজার বোতল কাশির সিরাপ উদ্ধার করে পুলিশ। স্যালাইনের প্যাকেট বোঝাই ট্রাকে সিরাপের বোতলগুলি আগরতলায় পাচারের চেষ্টা চলছিল। দাম ৩০ লক্ষ টাকার মতো। |