বাংলাদেশের সীমানা লাগোয়া নদিয়ার শেষ গ্রাম নফরচন্দ্রপুর। গ্রামের দক্ষিণ-পূর্ব সীমানায়, সেখানে মরা গাঙলির ধারে আরজান শাহের কবর। কবরের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মাত্র দু’ ফুট গেলে বাংলাদেশের সীমানা। অর্থাত্ সীমান্তের ‘জিরো পয়েন্ট’-এ ওই কবর। অবিভক্ত নদিয়ার মেহেরপুর মহকুমার তেহট্টের ইছাখালিতে ১৮৮৫ সালে আরজান শাহ জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম মেটোন বিশ্বাস। যুবক বয়সে আরজান সরডাঙ্গা গ্রামের চাঁতপতি, বা পতিচাঁদের কাছে মারিফতি ফকিরির দীক্ষা নেন। প্রথমা স্ত্রী ফলেজান বিবি ছিলেন তাঁর সাধন সঙ্গী। আরজান শাহ পদকর্তা ছিলেন। ভাগলপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়াত অধ্যাপক বিমলকুমার মুখোপাধ্যায় আরজানের ২২৭টি পদ সংগ্রহ করে প্রকাশ করেন। দেশ ভাগের সময় আরজান শাহের বাড়ির উঠোন ভারতে পড়ে। আর রান্নাঘর পড়ে পূর্ব পাকিস্থানে। ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে মৃত্যুর পর তার মরদেহ ভারত অংশে কবর দেওয়া হয়। দোলপূর্ণিমার তিথিতে প্রতি বছর মাজার সংলগ্ন স্থানে উরস উত্সব পালিত হয়। ওই উত্সবে এপার, ওপার দুই বাংলার মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়। কিন্তু সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়ার পর থেকে এপার বাংলার মানুষের মাজারে যাওয়ার অসুবিধা হচ্ছে। মাজারটি ভারতের এলাকায় থাকলেও সেটির অবস্থান কিন্তু কাঁটাতারের ওপারে। বিএসএফ সবাইকে কাঁটাতারের ওপারে যেতে দেয় না। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এ বার কাঁটাতারের গেটই খোলা হয়নি। ফলে বাং লাদেশের মানুষ যথারীতি মাজারের কাছে গিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে পারলেও বঞ্চিত হল এপার বাংলার মানুষ। কাঁটাতারের বেড়ার ফাঁক দিয়ে মাজারের দিকে তাকিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন এপারের মানুষ। ভারতের মানুষ ভারতের মাটিতে যাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হলেন। ওই সমসার কি কোনও সমধান সম্ভব নয়?
লোকেশচন্দ্র, তেহট্ট
|
মুশির্দাবাদের ভরতপুর-১ নম্বর ব্লকের সন্তোষপুর মৌজার রেশন ডিলারের এলাকায় ২০১২ সালের সেনসাস রিপোর্ট অনুসারে জনসংখ্যা ৩৪৮৭। কিন্তু ওই রেশন ডিলারের অধীন রেশনকার্ড রয়েছে ৫৫৪৮টি। অর্থাত্ তাঁর কাছে দু’ হাজারেরও বেশি ভুয়ো রেশন কার্ড রয়েছে। খাদ্য সরবরাহ দফতরের ইন্সপেক্টরকে অভিযোগ জানিয়েছি। কোনও প্রতিকার হয়নি। ওই ভুয়ো রেশনকার্ডের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য খাদ্য সরবরাহ দফতরের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মহম্মদ কাসেম, ভরতপুর
|
বহরমপুর পুর এলাকার সীমানা লাগোয়া নবপল্লি ও রাধিকানগর-দক্ষিণপাড়ার জনবহুল বসতির উপর দিয়ে চলে গিয়েছে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ১১০০০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক তার। ওই তার অনেক বাড়ির ছাদের উপর দিয়ে চলে গিয়েছে। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তবে কিছুটা এলাকার ওই তার কেটে অন্য এলাকা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ায় সেই এলাকায় বাড়ি করার সুবিধা তৈরি হয়েছে। বাকি অংশের উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ১১০০০ ভোল্টের বৈদ্যুতিক তার অন্য এলাকা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে মুক্ত হতে পারি। এ বিষয়ে বিদ্যুত্ দফতরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
জ্ঞানেন্দ্রনাথ দাস, নবপল্লি
|
গত ৩১ মার্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার দিন ভোগান্তির শেষ হতে হয় কয়েক হাজার পরীক্ষার্থীকে। তার মধ্যে কয়েকটির উল্লেখ করছি।
(১) পরীক্ষার্থীদের নিজের ব্লক, বা থানায় পরীক্ষার ব্যবস্থা করলে ২৫০০-৩০০০ টাকা গাড়ী ভাড়া দিয়ে দিনভর ভোগান্তির একশেষ হতে হত না। তারপরও পরীক্ষা না দিতে পেরে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হত না।
(২) রেকর্ড সংখ্যক পরীক্ষার্থীর জন্য পূর্ব পরিকল্পনা করে কেন যথাযথ পরিবহণ পরিকাঠানো তৈরি করা হয়নি?
(৩) ট্রাফিক পুলিশের কোনও রকম ব্যবস্থা ওই দিন ছিল না কেন?
(৪) বহরমপুর শহরে নজিরবিহীন যানজটে অসংখ্য পরীক্ষার্থী ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকলেও মুর্শিদাবাদ জেলাশাসক, বা রাজনৈতিক দলগুলিকে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি কেন?
মুকুল মণ্ডল, গোরাবাজার
|