লিগ টেবলের উপর দিকে এখন ‘জ্যাম’। একে অন্যকে ধাক্কা দিয়ে, টেনে নামিয়ে যতটা উপরে জায়গা করে নেওয়া যায়, তার চেষ্টা শুরু হয়ে গিয়েছে। আপনারাও নিশ্চয়ই রোজ এক বার করে টেবলটা দেখে নিচ্ছেন। প্রতিটা ম্যাচ শেষ হচ্ছে, আর লিগ টেবলের চেহারা পাল্টে যাচ্ছে।
লিগ টেবল নিয়ে আমি এত কথা বলছি ঠিকই, কিন্তু আমাদের দল এখন সে দিকে তাকানোর অবস্থাতেই নেই। লিগ টেবলে কী হচ্ছে না হচ্ছে, সে সব নিয়ে মাথা ঘামিয়ে কোনও লাভ নেই। আমাদের এখন একটাই লক্ষ্য, জয়ে ফেরা। কিন্তু নিজেদের আসল ছন্দেই এখনও আসিনি আমরা। আগে ছন্দ পেতে হবে, তার পর জয়ে ফেরা। কাজটা সহজ নয়। অথচ করতেই হবে। এমন একটা অবস্থাতেই আজ ইডেনে নামছি। ধোনিদের হারাতে না পারলে সমর্থকদের আশ্বস্ত করা যে মুশকিল হয়ে পড়বে, তা তো বুঝতেই পারছি। কিন্তু আমাদের প্লেয়াররা যতক্ষণ না নিজেদের সেরা জায়গায় আসছে, ততক্ষণ তা সম্ভবও নয়। জানি সেই জায়গায় আমরা আসবই। কিন্তু কবে, জানি না। সেই দিনটার অপেক্ষাতে রয়েছি সকলেই।
ইংলিশ কাউন্টিতে মিডলসেক্সের ক্রিকেটাররা যেমন লর্ডসে তাদের হোম ম্যাচ খেলার সম্মান অর্জন করে থাকে, তেমন আমাদের কাছে ইডেন। এটা একটা বিরাট সম্মান। আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা দেশের বাইরে দুটো মাঠকে নিজেদের ‘হোম’ বলে মনে করে। একটা লর্ডস। আর একটা, এই ইডেন। লর্ডস যেমন গাম্ভীর্য, আভিজাত্যে ভরপুর, তেমনই ইডেনে আছে আবেগ, উন্মাদনা আর ধ্বনি। আজ ধোনি আমাদের উল্টো দিকে থাকলে কী হবে, এই ধ্বনি কিন্তু থাকবে আমাদের দিকেই এবং একেই আমাদের শক্তিতে পাল্টে ফেলতে হবে। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে লড়াই বরাবরই বেশ আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। গত বারের ফাইনালের কথা নিশ্চয়ই ভুলে যাননি। এ বারও যে দুর্দান্ত একটা লড়াই হবে, এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আমাদের মতো ওদেরও তো এখনও আসল ছন্দে ফেরা বাকি। তবুও ওরা কিন্তু এর মধ্যেই তিনটে ম্যাচ জিতে নিয়েছে। সে জন্যই ওরা এখন আমাদের চেয়ে এগিয়ে। হয়তো শনিবার দুই দলই ছন্দে ফিরব। সেটা হলে অবশ্য আপনাদের, মানে দর্শকদেরই ভাল। ম্যাচটা তুমুল জমবে।
এই উদ্বেগের মধ্যে অবশ্য আমার কাছে একটা ভাল খবর, উইজডেনের সেরা পাঁচ বর্ষসেরা ক্রিকেটারের মধ্যে আমার থাকা। সবচেয়ে বড় কথা, এটা একটা বিরাট সম্মান এবং সত্যি বলতে কী, এটা আশাই করিনি। হালফিলে আমার পারফরম্যান্স সে রকম কিছু ছিল না। আমার কাছে আরও বড় ব্যাপার হল, উইজডেন অ্যালমানাক-এ সেরা পাঁচ ক্রিকেটারদের নিয়ে যে অধ্যায়গুলো লেখা হয়েছে, তার মধ্যে আমাকে নিয়ে লিখেছেন ক্রিস্টোফার মার্টিন জেনকিন্স, যিনি তাঁর গোটা জীবন ক্রিকেটকে উৎসর্গ করেছিলেন। জেনকিন্স এমন এক জন ক্রিকেটলিখিয়ে যাঁকে সারা বিশ্বের ক্রিকেটাররা চেনে। ক্রিকেটজীবনে এগুলোই বড় পাওনা। আর এই পাওয়াগুলোই ভাল খেলার বাড়তি তাগিদ জোগায়। এই সাম্প্রতিক প্রাপ্তি আমাকে ভাল খেলার রসদ জোগাবে, এমন আশা নিয়েই আজ মাঠে নামব।
|
শীর্ষে স্টেইনরা
নিজস্ব প্রতিবেদন |
শুক্রবার মাঝরাতেও আইপিএলের আকাশে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের সূর্যোদয় রুখতে পারল না কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। উপ্পলে পাঁচ উইকেটে প্রীতি জিন্টার টিমকে হারিয়ে ক্যামেরন হোয়াইটরা পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠে এলেন। ৭ ম্যাচে সানরাইজার্সের পয়েন্ট ১০। ডেল স্টেইন, অমিত মিশ্রর আগুনে ফর্মের সঙ্গে বল হাতে দুই শর্মা ইশান্ত (২-২৯) এবং করণের (২-১৯) দাপটে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১২৩ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল কিংস। গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়ায় কিংসের চার বলে চারটে উইকেট চলে যাওয়ায়। রান তাড়া করতে নেমে অবশ্য কুইন্টন ডি’কক আর অক্ষত রেড্ডি ৫০ রানের মধ্যে ফিরে যাওয়ায় কিছুটা চাপে পড়ে গিয়েছিল সানরাইজার্স। তবে গিলিরা বেশিক্ষণ চাপে রাখতে পারেননি। হনুমা বিহারি (৪৬) আর থিসারা পেরেরার (২৩ ন. আ.) ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ‘বুড়ো সিংহ’দের টিমকে বাগে আনতে আর বেগ পেতে হয়নি হায়দরাবাদকে। সাত বল বাকি থাকতেই জিতে যায় সানরাইজার্স। |