|
|
|
|
বিনোদন |
হিন্দি গান গাওয়ায়
জুবিনকে হুমকি পরেশদের
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
|
|
তাদের আদেশ অমান্য করে বিহুর অনুষ্ঠানে হিন্দি গান গাওয়ায় গায়ক জুবিন গর্গের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি জারি করল পরেশপন্থী আলফা। বিহুর আগেই পরেশপন্থী আলফার তরফে বিবৃতি পাঠিয়ে জানানো হয়েছিল, এবারের বিহুর অনুষ্ঠানে কোনও হিন্দি গান গাওয়া চলবে না। আলফার পরেশপন্থীদের নখ-দাঁত সে ভাবে না থাকলেও সিংহভাগ শিল্পী সেই ‘আদেশ’ মেনে নেন। কিন্তু গত কাল গুয়াহাটির একাধিক বিহুর মঞ্চে জুবিন তাঁর জনপ্রিয় হিন্দিগানগুলি গাইতে পিছ পা হননি। জনতার দাবি মেনে একের পর এক বাংলা ও হিন্দি গান গাইতে থাকেন জুবিন। এমন কী একটি মঞ্চে উদ্যোক্তারা ভয় পেয়ে তাঁকে গান বন্ধ করতে বললেও তিনি হিন্দি গান চালিয়ে যান। অন্য দিকে, অসমের আরও এক জনপ্রিয় শিল্পী অঙ্গরাগ পাপন মহন্ত কিন্তু আলফার নিষেধ মেনে ‘বরফি’, ‘দম মারো দম’ ছবিতে তাঁর গাওয়া গানগুলি বিহুমঞ্চে গাননি। জুবিন হিন্দি গান ধরার আগে, আলফার নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বলেন, “হিন্দি ভারতের রাষ্ট্রভাষা। তিনি হিন্দি গাইতে ভালবাসেন। তাঁর যা
ইচ্ছে গাইবেন।”
এর জেরে আজ পরেশপন্থী আলফার সহকারী তথ্য ও প্রচার সম্পাদক অরুণোদয় অসম বিবৃতি পাঠিয়ে ‘সুরামত্ত জুবিনের ঔদ্ধত্য ও স্পর্দ্ধাকে ধিক্কার’ জানান। উদ্যোক্তা লতাশিল বিহু সম্মেলনেরও নিন্দা করেছে আলফা। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘নব্বইয়ের দশকেও একই ভাবে উদ্ধত হয়ে উঠেছিল জুবিন। সে বার আমাদের কাছে মৌখিকভাবে ক্ষমা চাওয়ায় তাঁকে ক্ষমা করা হয়েছিল। সুরা, যশ ও ভারতীয় মঞ্চে আত্মপ্রতিষ্ঠার লোভে জুবিন হয়তো সেই কথা ভুলে গিয়েছে। সে যদি এ ভাবে হিন্দি গান চালিয়ে যায়, তবে জুবিনের সঙ্গে আলফার সরাসরি সংঘাত হবে। ফলাফলের জন্য আমরা দায়ী থাকব না।’’ পরেশপন্থীদের বক্তব্য, ‘‘জুবিন হিন্দিকে রাষ্ট্রভাষা বললেও, সংবিধান অনুযায়ী হিন্দি ভারতের সরকারি ভাষা। ২০১০ সালে গুজারাত হাইকোর্ট রায় দিয়েছে ভারতে কোনও রাষ্ট্রভাষা নেই।’’ উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে পরেশপন্থীদের বার্তা, রাজ্যজুড়ে বিহুর মঞ্চে নজর রাখছে আলফা। এরপর কোথাও কোনও শিল্পী বা উদ্যোক্তা নির্দেশ না মানলে সদস্যরা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
আলফার হুমকির জবাবে জুবিন বলেন, “আলফা আমার গান নব্বইয়ের দশকেও নিষিদ্ধ করেছিল। আমার কাছে এটা নতুন নয়। আমি সন্ত্রাস বিরোধী গান লিখি, আর গাই। তাই জঙ্গিদের কোনও নিষেধাজ্ঞা মেনে চলব না। শিল্প নিয়ে, সঙ্গীত নিয়ে শিল্পীরা কথা বলবেন। গায়ক ঠিক করবেন তিনি কী গাইবেন। শ্রোতারা আবদার করবেন, বলবেন তাঁরা কী শুনতে চান। এরমধ্যে আলফা বা পরেশ বরুয়া নাক গলাবে কেন? পরেশ বরুয়ার বাড়িতে আমি গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। কিন্তু গানের প্রতি হুলিয়া জারি মানব না। এমন হলে এখানে আর গান করাই যাবে না।” পশ্চিমবঙ্গে শিল্পের ও শিল্পীর স্বাধীনতার প্রশংসা করে জুবিন বলেন, “একটা সময় অসমও শিল্পীদের জন্য স্বর্গ ছিল। কিছু লোক তা ধ্বংস করতে চাইছে। আমি আজ জ্যোতিপ্রসাদ অগ্রবালের হিন্দি গান গাইব। আজ ও আগামীদিনের সব অনুষ্ঠানেই শ্রোতাদের চাহিদা মেনে গান চলবে।” |
|
|
|
|
|