নাটকের শেষ। গ্রেফতারই হলেন পারভেজ মুশারফ। আপাতত ইসলামাবাদে পুলিশের সদর দফতর তাঁর ঠিকানা। শুক্রবার সকালে চাক শাহজাদের খামারবাড়ি থেকে মুশারফকে গ্রেফতার করে বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির করে পুলিশ। সালোয়ার-কুর্তা-ওয়েস্টকোট পরা প্রাক্তন সেনানায়কের বরাবরের আত্মবিশ্বাসী চেহারাটাই উধাও ছিল এ দিন। তাঁর আগে কোনও প্রাক্তন পাক সেনাপ্রধানকে গ্রেফতার হতে হয়নি। মুশারফকে সন্ত্রাস-দমন আদালতে হাজির করাতে পুলিশকে নির্দেশ দেন বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আব্বাস আলি।
প্রসঙ্গত, জরুরি অবস্থা জারির সময়ে বিচারপতি ও বিচারকদের আটক করার দায়ে মুশারফকে সন্ত্রাস-দমন আইনেও অভিযুক্ত করেছিল ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। শুক্রবার ম্যাজিস্ট্রেটের যে আদালতে তাঁকে তোলা হয়, তার নিকটতম সন্ত্রাস-দমন আদালত রয়েছে রাওয়ালপিন্ডিতে। তাই মুশারফকে দু’দিনের ট্রানজিট রিম্যান্ডে পাঠান ম্যাজিস্ট্রেট। এই আইন অনুযায়ী, অন্য আদালতে হাজির না করা পর্যন্ত অভিযুক্তকে থানাতেই রাখতে হবে। কিন্তু নিরাপত্তার কথা ভেবে ইসলামাবাদের সেক্টর এফ-১১-য় পুলিশের সদর দফতরে মুশারফকে রাখার সিদ্ধান্ত হয়। আদালতে তোলা হয়ে গেলে মুশারফের খামারবাড়িকেই ‘উপ-কারাগার’ ঘোষণা করে সেখানে তাঁকে রাখার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট তাঁকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া মাত্রই সেখান থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন মুশারফ। রাতভর ঘাঁটি গেড়েছিলেন খামারবাড়িতে। ইসলামাবাদে সন্ত্রাস-দমন আদালত বসানোর কথাও ভাবছে অন্তর্বর্তী সরকার।
পুরনো খবর: গ্রেফতারির রায় শুনে কোর্ট থেকে উধাও মুশারফ, ঘাঁটি খামারবাড়ি
|
বিমানের জানলায় চিড়, জোর রক্ষা নওয়াজের
সংবাদসংস্থা • লাহৌর |
তাঁকে সরিয়ে পাকিস্তানের ক্ষমতা যিনি দখল করেছিলেন, সেই পারভেজ মুশারফ যে দিন গ্রেফতার হলেন, সেই দিনই বিমান দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। জানলার কাচে চিড় ধরায় আজ লাহৌরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হল নওয়াজের বিমান।
একটি চার্টার্ড বিমানে কোয়েটা থেকে পাক পঞ্জাবের হাসিলপুর যাচ্ছিলেন নওয়াজ ও তাঁর দল পিএমএল (এন)-এর নেতারা। ৯ হাজার ফুট উচ্চতায় বিমানটির একটি জানলার কাচে চিড় ধরা পড়ে। পাইলট বিমানের মুখ ঘুরিয়ে সেটিকে লাহৌরে নামান। ভোটের প্রচারের জন্য বিমানটি ভাড়া করেছিল নওয়াজের দল। বিমানটিতে মোট ১১ জন ছিলেন। সকলেই অক্ষত আছেন। |