খসড়া সংরক্ষণের তালিকা প্রকাশ হল বর্ধমান ও গুসকরা পুরসভায়। এই তালিকা অনুযায়ী গত বার বর্ধমানের উপ-পুরপ্রধান যে ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন, এ বার আর সেখান থেকে প্রার্থী হতে পারবেন না।
বর্ধমান পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে এ বার ১০টি সাধারণ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। তিনটি তফসিলি জাতি, দু’টি তফসিলি জাতির মহিলা ও একটি তফসিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। বাকি ১৯টি ওয়ার্ড সাধারণ। উপ-পুরপ্রধান তনুশ্রী সাহা গত বার যেখান থেকে নির্বাচিত হন, সেই ২ নম্বর ওয়ার্ড এ বার তফসিলি জাতির মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। তাই তিনি এ বার সেখান থেকে প্রার্থী হতে পারবেন না। একই সমস্যা পুরপিতা পরিষদ সদস্য আরএসপি-র অপূর্ব দাসের ক্ষেত্রেও। তিনি যেখানকার কাউন্সিলর, সেই ২০ নম্বর ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে খসড়া তালিকায়। |
পুরসভার বিরোধী দলনেতা, পরপর সাত বার ৩২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত সমীর রায়কে ২০০৮ সালে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে দাঁড়াতে হয়েছিল পুরনো ওয়ার্ড মহিলাদের সংরক্ষিত হয়ে যাওয়ায়। এ বার আবার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ৩২ নম্বর ওয়ার্ড এ বার সাধারণ। শহর যুব তৃণমূল সভাপতি খোকন দাস যেখান থেকে নির্বাচিত সেই ২৪ নম্বর ওয়ার্ডটি এ বার তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। ফলে খোকনবাবু এ বার সেখান থেকে দাঁড়াতে পারবেন না।
সিপিএমের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা পুরপ্রধান আইনুল হক বলেন, “এটি খসড়া তালিকা। এই সংরক্ষণ সম্পর্কে আপত্তি থাকলে ৯ মে-র মধ্যে তা জানানো যাবে। ভাল ভাবে দেখে আমাদের মতামত জানাব।” তৃণমূলের এই জেলার অন্যতম পর্যবেক্ষক অলোক দাসের বক্তব্য, “আমাদের পাঁচ কাউন্সিলরের ওয়ার্ড সংরক্ষিত না হয়ে থাকলে প্রত্যেকেই সেখানে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।”
গুসকরার ১৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে পাঁচটি তফসিলি জাতি (তার মধ্যে দু’টি মহিলাদের), একটি তফসিলি উপজাতি এবং চারটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। বাকি ৬টি আসন সাধারণ। পুরপ্রধান চঞ্চল গড়াই বলেন, “এ বার আমাদের ওয়ার্ড সংখ্যা ১৫ থেকে ১৬ হয়েছে। গত বার যেখান থেকে আমি জিতেছিলাম, সেই ১২ নম্বর ওয়ার্ড এ বার ১১ নম্বরে পড়ছে, যা মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। উপ-প্রধান মল্লিকা চোঙদারের ১১ নম্বর ওয়ার্ড এ বার ১০ নম্বরে। সেটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত।” অর্থাত্, পুরপ্রধান ও উপ-প্রধানকে প্রার্থী হওয়ার জন্য এ বার অন্য ওয়ার্ডে যেতেই হচ্ছে। |