বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্রের সফর ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ চড়ছে কোচবিহারে। শনিবার দু’দিনের সফরে কোচবিহার আসবেন সুর্যকান্তবাবু। সিপিএম সূত্রের খবর, শনি ও রবিবার জেলার সাতটি থানা এলাকায় তৃণমূলের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সিপিএম এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের কার্যালয় ঘুরে দেখবেন সূর্যকান্তবাবু।
দিল্লি-কাণ্ডের পরে দক্ষিণবঙ্গে সূর্যবাবুকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল সমর্থকরা। সিপিএম জেলা সম্পাদকমণ্ডলী সদস্য অনন্ত রায় বলেন, “বিভিন্ন জেলাতে বাম নেতাদের ঘিরে তৃণমূল সমর্থকরা যে ভাবে অশান্তির চেষ্টা করেছে তাতে কোচবিহারে আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দলের কর্মীদের সংযত থাকার নির্দেশ দিলেও বাস্তবে সেটা কতটা মানা হবে সে ব্যাপারে সংশয় রয়েছে। তবে সত্যি তা মানা হলে সাধুবাদ জানাব।”
তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের দাবি করেন, “কর্মীরা সংযত। সিপিএমই সূর্যবাবুকে সামনে রেখে উত্তেজনা ছড়াতে চাইছে। ফলে ওদের প্ররোচনায় অশান্তি হলে সূর্যকান্তবাবুও পার পাবেন না।” সূর্যকান্তবাবুকে রবীন্দ্রনাথবাবুর পরামর্শ, “প্ররোচনা দেওয়ার বদলে দিল্লি-কাণ্ডের জেরে সূর্যকান্তবাবু বরং নিজের মাথা মুণ্ডন করে জেলায় জেলায় গিয়ে বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চান।” তৃণমূলের মনোভাবকে অবশ্য ‘হুমকি’ বলেই মনে করছেন জেলার বাম নেতারা।
ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সম্পাদক উদয়ন গুহ বলেন, “সংবাদমাধ্যমে তৃণমূল নেতারা যা বলছেন তা প্রচ্ছন্ন হুমকির নামান্তর। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পরেই বিরোধী দলনেতার সম্মান। তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে সরকার দায় এড়াতে পারে না।” জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’দিনে সাতটি এলাকায় যাওয়ার কথা সূর্যবাবুর। যাতায়াতের সময় তাঁর কনভয়ের সঙ্গে পর্যাপ্ত বাহিনী রাখা হবে। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পুলিশ থাকবে। চলবে টহলদারিও। যাত্রাপথেও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বাইরের জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ কর্মীদের আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল বলেন, “সব রকম সতর্কতা ব্যবস্থা হচ্ছে। শীঘ্র সব পরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে।” |