দিল্লিতে এসএফআই সমর্থকদের হাতে রাজ্যের মন্ত্রী নিগ্রহের প্রতিবাদে জেলা জুড়ে শাসক দলের অনুগামীদের হাতে দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুললেন সিপিএমের জেলা নেতৃত্ব। বৃহস্পতিবার জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলেন, “দিল্লি কাণ্ডের পর আমাদের ২৬টি পার্টি অফিসে ভাঙচুর করা হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ জন বামকর্মী। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। শাসকদলের তল্পিবাহকে পরিণত হয়েছে পুলিশ। পুলিশের উপর আস্থা হারিয়েছেন মানুষ।” জেলা সিপিএম সূত্রের খবর, এই ইস্যুতে চলতি মাসের ২৬ তারিখে জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হবে। প্রশাসনের কাজে দলীয় হস্তক্ষেপের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, “পুলিশকে আমরা কোনও ভাবেই ব্যবহার করি না। কোথাও সিপিএমের অফিসে হামলা হলে তা জনরোষের ফল।” জেলা পুলিশ সুপার সব্যসাচী রমন মিশ্র বলেন, “দলীয় কার্যালয় ভাঙার ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে কারও নামে অভিযোগ করা হয়নি। তাই অপরাধীদের ধরতে সমস্যা হচ্ছে। তবে অপরাধীদের সন্ধানে তদন্ত চলছে।”
|
এক মহিলাকে খুনের অভিযোগ উঠল তার স্বামী ও ভাসুরের বিরুদ্ধে। নাম শ্যামলী বিশ্বাস (৩০)। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে মাথায় আঘাত করে খুন করা হয় দলে অভিযোগ। অভিযুক্তরা পলাতক। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পনেরো বছর আগে হরনগরের শ্যামলীদেবীর সঙ্গে বিয়ে হয় শম্ভুনগরের বাসিন্দা পেশায় কৃষক অভিরাম বিশ্বাসের। এ দিন জমিতে আল দেওয়া নিয়ে অভিরাম ও তার ভাই ক্ষুদিরাম বিশ্বাসের বচসা শুরু হয়। সেই সময় খাবার নিয়ে মাঠে গেলে শ্যামলীদেবী ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। তখন তারা শ্যামলীদেবীর উপর চড়াও হয়ে তাকে খুন করে বলে অভিযোগ। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। কৃষ্ণনগরের আইসি অলোকরঞ্জন মুন্সি বলেন, “অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।”
|
নৈশপ্রহরীদের বেঁধে রেখে অবাধে লুঠপাট চালিয়ে চম্পট দিল ডাকাত দল। বুধবার রাতে নদিয়ার চাকদহের শিলিন্দা বাজারে দুটি সোনার দোকান থেকে নগদ টাকা, সোনা ও রুপোর গয়না নিয়ে পালায় ডাকাতদলটি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ ১২ জনের ডাকাত দলটি বাজারে হানা দিয়ে পাঁচ জন নৈশপ্রহরীকে বেঁধে ফেলে লুঠপাট শুরু করে। ডাকাতির শেষে তারা চাকদহের দিকে চলে যায়। শিলিন্দা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুদাম বারুই বলেন, “নৈশ প্রহরীদের মোবাইলের সিমকার্ড খুলে ডাকাতরা মোবাইলগুলি ফেরত দিয়ে দেয়। এই ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।” কল্যাণীর এসডিপিও চন্দ্রশেখর বর্ধন বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” |