প্রস্তাবিত ‘ডানকুনি ফ্রেট করিডর’ প্রকল্পে জমি দিতে চাকরি চাইলেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার সিঙ্গুরে ডানকুনি ফ্রেট করিডর নিয়ে রেলের পদস্থ কর্তারা হুগলি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই প্রকল্পে যে সব এলাকার জমি অধিগৃহীত হবে, সেখানকার মানুষজনের সঙ্গেও এ দিন রেল ও প্রশাসনের কর্তারা কথা বলেন। বৈঠকে ছিলেন ফ্রেট করিডরের চিফ প্রজেক্ট ম্যানেজার বিজয়কুমার পাঞ্জিরা, হুগলির অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) আবিদ হোসেন এবং রাজ্যের কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না। প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত এক রেলকর্তা বলেন,“ফ্রেট করিডরের জন্য যাঁরা জমি দেবেন, তাঁদের চাকরি দেওয়ার কোনও সুযোগ এই প্রকল্পে নেই। এলাকাবাসী যেহেতু আবেদন করেছেন, তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।”
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, হুগলিতে মোট ৩৬টি মৌজায় রেলের এই প্রকল্পের কাজ হবে। প্রকল্পে যে মানচিত্র রয়েছে, সেই অনুয়ায়ী মূলত চণ্ডীতলা, সিঙ্গুর এবং ধনেখালির উপর দিয়েই এই প্রকল্প হবে। ইতিমধ্যেই সিঙ্গুরের বিভিন্ন এলাকায় জমি চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে রেল। রেলের তরফে জমি এবং বাড়ি চিহ্নিত করার সময়ই স্থানীয় মানুষ রেল-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার আর্জি জানান।
সেই আর্জির সাপেক্ষেই এ দিন প্রস্তাবিত জমিদাতাদের সঙ্গে কথা বলেন। অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন,“আমরা বেশ কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা তাঁদের অভিমত জানিয়েছেন। ওই মতামত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”
হাওড়া কর্ড শাখার মির্জাপুর-বাঁকীপুর স্টেশনের কাছে ওষুধের দোকানের মালিক স্বপ্না বন্দ্যোপাধ্যায় বা বলরামবাটি স্টেশনের কাছে ইলেকট্রিকের সরঞ্জামের দোকান থাকা প্রশান্ত গলুই অবশ্য জানিয়েছেন, রেলের প্রকল্পে জমি-দোকান নিলে তাঁদের আপত্তি নেই। কিন্তু রেলে চাকরি দিতেই হবে। |