তৃণমূল কংগ্রেস যোগ দিলেন ডুয়ার্সের নারী মোর্চার নেত্রী শালিনী ছেত্রী এবং রেণুকা তামাং। বুধবার বীরপাড়ার টুকরাখাস বস্তিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ডুয়ার্সের আরএসপি-র পঞ্চায়েত সদস্য, যুব সংগঠনের এক নেতা-সহ কর্মী, সমর্থকেরাও তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে তৃণমূলের দাবি। ওই নেতানেত্রীদের হাতে দলীয় পতাকা দেন যুব তৃণমূলের রাজ্যের কার্যকরী সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, “মোর্চার প্রতি ডুয়ার্সের মানুষ বীতশ্রদ্ধ। তাই তাঁরা দলে দলে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। আর বাম জমনায় বঞ্চনার শিকার হওয়া নেতাকর্মীরাও তৃণমূলে আসছেন।” উল্লেখ্য, মঙ্গলবার কলকাতায় গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন আদিবাসী বিকাশ পরিষদের বিক্ষুব্ধ জন বার্লা গোষ্ঠীর দুই নেতা পরশনাথ বরাইক ও বিধান সরকার। মোর্চার ডুয়ার্স সংগঠনের প্রাক্তন সভানেত্রী শালিনী ছেত্রী বলেন, “জিটিএ তৈরি হওয়ার পর মোর্চার নেতারা আমাদের ভুলে গিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী ডুয়ার্সের উন্নয়নে কথা বলা আমরা তৃণমূলে এসেছি।” পরশনাথ বরাইক বলেন, “তৃণমূল নেত্রী এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন করবেন, এই আশা থেকেই তৃণমূলে এসেছি।”
দলবদলের ঘটনার পর মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, “দ্রুত ডুয়ার্সে মিছিল, সভা করে জনসমাগম দেখাব, যাঁরা অন্য দলে গিয়েছেন, তাঁদের নিয়ে চিন্তিত নই। খুব দ্রুত তাঁরা ফিরবেন।” এদিন, আরএসপি-র বীরপাড়া ১ পঞ্চায়েত সদস্য প্রকাশ ছেত্রী, যুব সংগঠনের জোনাল কমিটির নেতা সোমেন দাস অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে দলের নেতারা জানিয়েছেন। আরএসপি-র বীরপাড়া জোনাল সম্পাদক গোপাল ছেত্রী বলেন, “ওই পঞ্চায়েত সদস্যকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাকিরা আরএসপি-র সঙ্গে যুক্ত নন।” |