|
|
|
|
বিজেপির সুবিধা হবে বলে বিতর্কে শাকিল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ঠিক দু’সপ্তাহ বাদে কর্নাটকে বিধানসভা ভোট। তার আগে আজ বেঙ্গালুরুতে বিজেপি-র দফতরের সামনে বিস্ফোরণের পরেই রাজনীতির অলিন্দে বোমা ফাটালেন কংগ্রেস নেতা শাকিল আহমেদ। টুইট করলেন, “এই বিস্ফোরণ যদি সন্ত্রাসবাদী হানা হয়, তা হলে নিশ্চয়ই ভোটে সুবিধা হবে বিজেপি-র।” আর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির এই সদস্যের মুণ্ডপাত করতে আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি। কারণ, অনেকেরই ধারণা স্পষ্ট করে না বললেও এই বিস্ফোরণের পিছনে বিজেপি-র ষড়যন্ত্র রয়েছে এমন ইঙ্গিতই করতে চেয়েছেন শাকিল। বস্তুত, শুধু তিনি নন, ঘরোয়া আলোচনায় এমন সম্ভাবনার কথা বলছেন কংগ্রেসের অনেক নেতাই। তাঁদের বক্তব্য, কর্নাটকে একে তো দুর্নীতির অভিযোগে বিজেপি-র দীর্ণ দশা। তার ওপর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা আলাদা দল গড়ায় আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে বিজেপি। এই অবস্থায় বিতর্কের মুখ ঘোরাতে বিজেপি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে, এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এতে এক দিকে তারা যেমন সহানুভূতি পাবে, অন্য দিকে হিন্দু ভোট এক জোট করার কাজেও সুবিধা হবে। বিজেপি-র সেই কৌশল ভেস্তে দিতেই শাকিলের এই মন্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপি অবশ্য তৎক্ষণাৎ পাল্টা আক্রমণের পথে গিয়েছে। দলীয় মুখপাত্র মীনাক্ষী লেখি থেকে শুরু করে দলীয় সভাপতি রাজনাথ সিংহ সকলেই বলেছেন: “এক জন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার থেকে এ ধরনের মন্তব্য প্রত্যাশিত নয়। তা ছাড়া, কর্নাটকে কংগ্রেস এ বার এমনিতেই ডাহা হারবে।” সেই শোরগোলের পরে কংগ্রেসও শাকিলের মন্তব্য থেকে খানিকটা দূরত্ব তৈরি করতে চেয়েছে। দলের প্রধান মুখপাত্র জনার্দন দ্বিবেদী বলেন, “সন্ত্রাসবাদী আক্রমণকে এ ভাবে রাজনৈতিক লাভক্ষতির হিসাবে বিবেচনা করা ঠিক নয়।” অন্য দিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আর পি এন সিংহের মন্তব্য, “কংগ্রেস সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিয়ে রাজনীতি করে না। শাকিল যা বলেছেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত মত।” |
|
|
|
|
|