আহত ১৬ জন, সন্দেহে আইএম
তিন বছর পর ফের অল্পে বাঁচল বেঙ্গালুরু
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার আজই ছিল শেষ দিন। তাই মালেশ্বরমে বিজেপি সদর দফতরের সামনে সকাল থেকেই হাজির ছিল টহলদারি পুলিশ ভ্যান।
ভ্যানেই সহকর্মীদের সঙ্গে বসে ছিলেন বছর পঞ্চাশের মীরান্নাভার। ঘড়িতে তখন সাড়ে দশটা। হঠাৎ কানে তালা ধরানো একটা আওয়াজ। মীরান্নাভার যখন চোখ খুললেন, সামনের গাড়ি তিনটে দাউদাউ করে জ্বলছে। টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে একটা মোটরবাইক।
সে দিনটাও ছিল ১৭ এপ্রিল। তিন বছর আগে ঠিক এই দিনেই বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম। তার পিছনে ছিল ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন। এ বার কেউ দায় স্বীকার না করলেও সন্দেহ তাদের দিকেই। সে বার আহত হয়েছিলেন ১৫ জন। এ বারও অল্পের উপর দিয়েই গেল। বেঙ্গালুরুতে সব মিলিয়ে জঙ্গি নাশকতার চতুর্থ ঘটনায় আহত হলেন ১৬ জন। কিন্তু স্থান-কাল-পাত্রের বিচারে আরও বড় ক্ষতি হতে পারত।
শুশ্রূষা: বিস্ফোরণে আহত তরুণীর চিকিৎসা চলছে বেঙ্গালুরুর হাসপাতালে। বুধবার।
মালেশ্বরমের বিস্ফোরণস্থলের কাছেই দু’-দু’টো মন্দির। সকালের দিকে বহু পুণ্যার্থী ওই পথ দিয়ে যাতায়াত করেন। কয়েকশো গজ দূরে বিজেপির সদর দফতর। ওই সময় অফিসে এ দিন দলের রাজ্য সভাপতি, মুখ্যমন্ত্রী, জাতীয় স্তরের নেতা-মন্ত্রীরা থাকতেই পারতেন। কর্নাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আর অশোক দাবি করছেন, “বিষয়টা একেবারেই পরিষ্কার। আমাদের প্রবীণ নেতা-মন্ত্রীদেরই নিশানা করেছিল সন্ত্রাসবাদীরা।” যদিও বিরোধীদের একাংশ বলছেন, দুর্নীতিগ্রস্ত বিজেপি সরকার সহানুভূতি কুড়োতেই এ সব ঘটিয়েছে। কংগ্রেস নেতা শাকিল আহমেদ টুইট করেছেন, ‘‘এতে বিজেপিরই সুবিধা হল!”
বিস্ফোরণের সময় বিজেপি-র অফিসে সামান্য কিছু কর্মীই ছিলেন। তাঁদের ক্ষয়ক্ষতিও হয়নি। আহত ১৬ জনের মধ্যে ১১ জনই পুলিশ। মীরান্নাভার বললেন, “আমাদের ভ্যানটা ভেঙেচুরে শেষ।
বিস্ফোরণের আগুনে পুড়ছে গাড়ি। বুধবার।
জানলার কাচগুলো গুঁড়ো হয়ে গিয়েছে। স্প্রিংয়ের মতো লাফিয়ে উঠেছিল গাড়ির সিট-টা, মাথা ঠুকে গেল গাড়ির ছাদে। বাঁ কানে কিচ্ছু শুনতে পাচ্ছি না।” চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, মাথার মধ্যে সপ্লিনটার ঢুকেছিল। অস্ত্রোপচার করে বার করা হয়েছে। কুঞ্জাপ্পা, বিশ্বেশ্বরাইয়াদেরও প্রায় একই দশা।
টিউশন থেকে ফিরছিলেন দুই বন্ধু রক্ষিতা এবং লিশা। তাঁদের কথায়, “বীভৎস জোরে আওয়াজ। দেখলাম পড়ে রয়েছি।” এক অটোরিকশা চালক তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যান। দু’জনেরই অস্ত্রোপচার হয়েছে। বেঙ্গালুরুর এই অঞ্চলটা শান্তিপূর্ণই। সেখানে এই ঘটনায় অবাক স্থানীয়রা। এক গৃহবধূ বলেন, “রান্নাঘরে ছিলাম। জানলা দিয়ে এল কাচের সপ্লিন্টার।” পুলিশ জানায়, বিস্ফোরণে আইইডি ব্যবহার করা হয়েছিল। একটা চুরি করা মোটরবাইকে লাগানো ছিল সেই বিস্ফোরক। বাইকে লাগানো ছিল তামিলনাড়ুর লাইসেন্স প্লেট। একটা মোবাইল সিম কার্ড পেয়েছে পুলিশ। হায়দরাবাদ থেকে জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ-র দল ঘটনাস্থলে গিয়েছে।

ছবি: পিটিআই

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.