|
|
|
|
|
|
|
লগ্নির শব্দকোষ
অমিতাভ গুহ সরকার |
|
ফুটবল বুঝতে গেলে পেনাল্টি, ফ্রি কিক, অফসাইড ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হয়। ক্রিকেট বুঝতে গেলে জানতে হয় রান আউট, হিট উইকেট, এলবিডব্লিউ, সিলি পয়েন্ট ইত্যাদি কথার মানে। ঠিক তেমনই বিনিয়োগের বাজার সঠিক ভাবে বুঝতে হলে যথাযথ জ্ঞান থাকতে হবে লগ্নি সংক্রান্ত নানা প্রতিশব্দ সম্পর্কে। লক-ইন পিরিয়ড, নেট অ্যাসেট ভ্যালু, ইটিএফ-এর মতো অন্তত কিছু শব্দের মানে না-জানলে প্রকল্প বুঝতে অসুবিধা হতে পারে। ভুল হয়ে যেতে পারে সিদ্ধান্ত। এ কথা মাথায় রেখেই আজ আমরা জানার চেষ্টা করব লগ্নির বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রায়ই ব্যবহার হওয়া নানা শব্দর মানে। তৈরির চেষ্টা করব বিনিয়োগের ছোট অভিধান। আসুন, এই সব শব্দের মানে খুঁজতে একটি করে ক্ষেত্রের দিকে তাকাই আমরা। |
|
শেয়ার বাজার |
• ইক্যুইটি শেয়ার
একে অর্ডিনারি বা সাধারণ শেয়ারও বলে। বাজারে নথিবদ্ধ সব শেয়ারই ইক্যুইটি শেয়ার। এর সঙ্গে যুক্ত থাকে ভোটাধিকার। যা প্রয়োগ করা যায় সংস্থার এজিএম (বার্ষিক সাধারণ সভা) এবং ইজিএমে (বিশেষ সাধারণ সভা)। এই শেয়ার ইস্যু করেই সংগ্রহ করা হয় সিংহভাগ মূলধন। সংস্থা উঠে না-গেলে, এর টাকা ফেরত দেওয়া হয় না (বাই ব্যাক ছাড়া)।
• প্রেফারেন্স শেয়ার
এই শেয়ারের সঙ্গে যুক্ত আছে অগ্রাধিকার। মূলত ডিভিডেন্ড এবং টাকা ফেরত পাওয়ার বিষয়ে। তবে বার্ষিক সভায় এই শেয়ারে ভোটাধিকার থাকে না। প্রেফারেন্স শেয়ারের নির্দিষ্ট ডিভিডেন্ডের হার ও মেয়াদ থাকে। ডিভিডেন্ডের ক্ষেত্রে তা ইক্যুইটির তুলনায় অগ্রাধিকার পায়। মেয়াদ শেষে ফেরত দেওয়া হয় মূল টাকাও। এই শেয়ারকে নথিবদ্ধ করতে দেওয়ার বিষয়ে সেবি আইন আনার কথা ভাবছে।
• বাই ব্যাক
যখন খোদ সংস্থাই আইন অনুযায়ী শেয়ারহোল্ডার কিংবা বাজার থেকে সরাসরি শেয়ার কেনে, তখন তাকে আমরা বাই ব্যাক বলি।
• আই পি ও
শেয়ারের প্রাথমিক ইস্যুর (প্রথম বার শেয়ার ছাড়া) নাম আইপিও বা ইনিশিয়াল পাবলিক অফার। প্রচলিত ভাষায় একে পাবলিক ইস্যুও বলে।
• ফেস ভ্যালু
ফেস ভ্যালু হল শেয়ারের মূল নাম। তা ১, ২, ৫, ১০ অথবা ১০০ টাকা হতে পারে। বেশির ভাগ নথিবদ্ধ শেয়ারের ফেস ভ্যালু ১০ টাকা। একে ভেঙে ছোট করা হলে তাকে আমরা বলি শেয়ার স্প্লিট।
• শেয়ার প্রিমিয়াম
শেয়ার ইস্যুর সময় যদি ফেস ভ্যালুর তুলনায় বেশি অর্থ সংগ্রহ করা হয়, তবে অতিরিক্ত অর্থকে বলা হয় শেয়ার প্রিমিয়াম। সংস্থা যত ভাল, প্রিমিয়াম তত বেশি।
• বোনাস শেয়ার
শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিনামূল্যে বণ্টন করা শেয়ারকে বলে বোনাস শেয়ার। ডিভিডেন্ড দেওয়ার পরেও সংস্থার ঘরে লাভের অঙ্ক জমে উঠতে থাকলে, তা থেকে অনেক সময়ে বোনাস শেয়ার ইস্যু করা হয়।
• রাইট শেয়ার
অধিকার বলে সংস্থা থেকে যে-শেয়ার কেনার সুযোগ মেলে, তা হল রাইট শেয়ার। আইপিও-র পর সংস্থা ফের শেয়ার ছাড়লে, তা কেনার প্রাথমিক অধিকার থাকে শেয়ারহোল্ডারদের। এরই নাম রাইট শেয়ার।
|
|
• ডিভিডেন্ড
সংস্থার মুনাফার একাংশ যখন শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বণ্টন করা হয়, তখন তাকে বলা হয় ডিভিডেন্ড। পরিচালন পর্ষদের সুপারিশ অনুযায়ী শেয়ার পিছু টাকা অথবা শতাংশের হিসেবে ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হয় সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভায়।
• ডিভিডেন্ড ইল্ড
ইল্ড-এর অর্থ প্রকৃত আয়। ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হয় শেয়ারের ফেস ভ্যালুর উপর। যেমন ধরুন, ১০ টাকা ফেস ভ্যালুর উপর ৪০%। যার মানে শেয়ার-পিছু ৪ টাকা। কিন্তু এই শেয়ারের বাজার দর যদি ৪০ টাকা হয়, তা হলে তার উপর ৪ টাকা ডিভিডেন্ড পাওয়ার অর্থ প্রকৃত আয় দাঁড়াল ১০%। এই প্রকৃত আয়কেই বাজারের পরিভাষায় বলা হয় ইল্ড।
• ই পি এস
পুরো কথা আর্নিং পার শেয়ার বা শেয়ার-পিছু আয়। সংস্থার নিট মুনাফাকে ইস্যু করা মোট শেয়ারের সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলেই এই অনুপাত পাওয়া যায়। এ থেকে বোঝা যায় সংস্থা কতটা ভাল করছে।
১০ টাকা ফেস ভ্যালুর উপর ইপিএস ১০ টাকা হলে, বলতে হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থা বেশ ভাল করছে।
• পি ই রেশিও
পুরো কথা প্রাইস আর্নিং রেশিও। সহজ কথায়, দাম ও আয়ের অনুপাত। শেয়ারের বাজার দরকে ইপিএস দিয়ে ভাগ করলে পাওয়া যায় পি ই রেশিও।
যেমন, কোনও শেয়ারের বাজার দর যদি ১০০ টাকা এবং ই পি এস ১০ টাকা হয়, তবে সেই শেয়ারের পি ই রেশিও হল ১০। বাজার দরের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যায় দাম ও আয়ের অনুপাতও।
পি ই রেশিও দেখে অনুমান করা যেতে পারে, কোনও শেয়ারের দাম বাড়ার সম্ভাবনা আছে কি না। সংশ্লিষ্ট শিল্পের গড় পি ই রেশিও যদি ১৪ হয় তবে ১০ পি ই যুক্ত সংস্থার শেয়ারের দাম বাড়ার (অন্যান্য শর্তসাপেক্ষে) জায়গা আছে বলে ধরে নেওয়া হয়।
|
|
মিউচুয়াল ফান্ড |
• ন্যাভ
পুরো কথা নেট অ্যাসেট ভ্যালু। ন্যাভ দেখে বোঝা যায় একটি মিউচুয়াল প্রকল্প কতটা ভাল করছে। কোনও মিউচুয়াল প্রকল্পের সব সম্পদের (লগ্নি+নগদ টাকা ইত্যাদি) মোট মূল্য থেকে সব রকম দায় বাদ দিয়ে তাকে ইস্যু করা ইউনিটের সংখ্যা দিয়ে ভাগ করলে পাওয়া যায় প্রতি ইউনিটের মূল্য বা ন্যাভ। ন্যাভ বাড়ার অর্থ আপনার লগ্নি বেড়ে উঠছে।
• এন্ট্রি লোড
ইউনিট কেনার সময়ে ফেস ভ্যালু অথবা বিক্রয় মূল্যের অতিরিক্ত মাসুল দিতে হলে, তাকে বলা হয় এন্ট্রি লোড বা প্রবেশ মাসুল।
• এগ্জিট লোড
ইউনিট বিক্রির সময়ে কোনও মাসুল দিতে হলে, তাকে বলে এগ্জিট লোড।
• এ ইউ এম
পুরো কথা অ্যাসেট আন্ডার ম্যানেজমেন্ট। কোনও ফান্ডের সব সম্পদের মোট মূল্যই হল তার এইউএম।
• এন এফ ও
কোনও মিউচুয়াল ফান্ডের প্রথম ইস্যু। ভেঙে বললে নিউ ফান্ড অফার।
• ডাইভারসিফায়েড ফান্ড
যে-ফান্ডের তহবিল বিভিন্ন শিল্পে লগ্নি করা হয়, তার নাম ডাইভারসিফায়েড বা সুবিন্যস্ত ফান্ড। সব শিল্প একই সঙ্গে সাধারণত খারাপ করে না। তাই এতে ঝুঁকিও অপেক্ষাকৃত কম।
• সেক্টোরাল ফান্ড
এই ফান্ডের তহবিল সাধারণত একটি বিশেষ ক্ষেত্রে লগ্নি করা হয়। যেমন আইটি ফান্ড, ব্যাঙ্কিং ফান্ড ইত্যাদি। তাই সংশ্লিষ্ট শিল্পের ভাল-মন্দের উপরই নির্ভর করে তার ভাগ্য। লাভ ও ঝুঁকির সম্ভাবনা দুই-ই এখানে বেশি।
• ইক্যুইটি ফান্ড
এই ফান্ডের সিংহ ভাগ তহবিলই ইক্যুইটিতে লগ্নি করা হয়। এর বাজারজনিত ঝুঁকি এবং লাভের সম্ভাবনা দুই-ই বেশ বেশি।
• ডেট ফান্ড
ঋণপত্র নির্ভর ফান্ড। এর তহবিল মূলত লগ্নি করা হয় সরকারি ও বেসরকারি ঋণপত্রে। শুধু সরকারি ঋণপত্রে লগ্নি করা হলে, তাকে বলে গিল্ড ফান্ড। স্বাভাবিক ভাবেই ডেট ফান্ডে ঝুঁকি কম। কিন্তু তেমনই আয়ের সম্ভাবনাও ইক্যুইটি ফান্ডের মতো চড়া নয়। ঝুঁকিবিমুখ মানুষের জন্য লগ্নির বেশ ভাল জায়গা।
• ব্যালান্সড ফান্ড
এই ফান্ড ইক্যুইটি ও ঋণপত্রের মিশ্রণে তৈরি। অর্থাত্, তহবিলের টাকা ঢালা হয় দু’জায়গাতেই। অনুপাত হতে পারে ৫০:৫০, ৬০:৪০ ইত্যাদি। ঝুঁকি ও আয়ের সম্ভাবনা মাঝারি।
• ই টি এফ
বেশ জনপ্রিয়। পুরো নাম এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড। যে ফান্ডের ইউনিট বাজারে নথিবদ্ধ এবং শেয়ারের মতোই কেনা-বেচা হয়, তা হল ইটিএফ। যেমন, গোল্ড ইটিএফ, নিফ্টি ইটিএফ, সেনসেক্স ইটিএফ ইত্যাদি। তবে ইটিএফ কিনতে হলে ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্ট থাকতেই হবে ।
• এস আই পি
পুরো কথা সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান। ফান্ডের দুনিয়ায় এসআইপি বেশ জনপ্রিয়। এর মানে হল প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা ফান্ডে লগ্নি করে যাওয়া। এক লপ্তে মোটা টাকা লগ্নি না-করেও এর মাধ্যমে বড় তহবিল গড়ে তোলা সম্ভব।
|
বন্ড/ডিবেঞ্চার |
|
• এফ সি ডি
পুরোপুরি পরিবর্তনযোগ্য (ফুল্লি কনভার্টিবল্) ডিবেঞ্চার। এই ধরনের বন্ড বা ডিবেঞ্চার নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে ইক্যুইটি শেয়ারে রূপান্তরিত হয়।
• পি সি ডি
পুরো কথা পার্টলি কনভার্টিবল্ (আংশিক ভাবে পরিবর্তনযোগ্য) ডিবেঞ্চার। নামেই স্পষ্ট, এই ধরনের বন্ড বা ডিবেঞ্চারের একটি অংশ রূপান্তরিত হয় ইক্যুইটি শেয়ারে।
|
ব্যাঙ্কিং |
• সি আর আর
ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও বা নগদ জমার অনুপাত। বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে তাদের ডিমান্ড ও টার্ম লায়াবিলিটির যে অনুপাত বাধ্যতামূলক ভাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কে জমা রাখতে হয়, তাই হল সিআরআর। তা বাড়লে বাজারে নগদের জোগান কমে। আর কমলে উল্টোটা হয়।
• রেপো রেট
যে-হারে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয়, তা-ই হল রেপো রেট। তাই এই রেট কমলে সুদ কমতে পারে। বাড়লে, সুদ বাড়ার সম্ভাবনা। শিল্প ও শেয়ার বাজার চায় এই রেট কম থাকুক। বর্তমানে তা ৭.৫%।
• রিভার্স রেপো রেট
যে-সুদে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলির কাছ থেকে টাকা ধার নেয়, তা-ই হল রিভার্স রেপো রেট। বাজার থেকে অতিরিক্ত নগদ শুষে নেওয়ার এটিও একটি রাস্তা।
• ই এম আই
পুরো কথা ইকুয়েটেড মান্থলি ইনস্টলমেন্ট। ঋণ শোধের ক্ষেত্রে এই কথাটি ব্যবহৃত হয়। সুদ ও আসল-সহ ইএমআই এমন ভাবে কষা হয়, যাতে ঋণের পুরো মেয়াদেই কিস্তি একই থাকে। অবশ্য এর ব্যতিক্রমও আছে।
|
আয়কর |
• প্রিভিয়াস ইয়ার
করের দুনিয়ায় এর মানে আয়ের বছর। শুরু হয় ১ এপ্রিল। চলে পরের বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত।
• অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার
প্রিভিয়াস ইয়ারের পরের অর্থবর্ষে হিসাব করা হয় প্রিভিয়াস ইয়ারের আয় এবং তার উপর দেয় কর। তাই এই বছরটিকে বলা হয় অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার। যেমন, ২০১২-’১৩ যদি প্রিভিয়াস ইয়ার হয়, তবে তার অ্যাসেসমেন্ট ইয়ার হবে ২০১৩-’১৪।
• টি ডি এস
আয়ের উত্সে যে-কর কেটে নেওয়া হয়, তা হল টি ডি এস বা ট্যাক্স ডিডাক্টেড অ্যাট সোর্স।
• প্যান
আয়কর আইন অনুযায়ী বণ্টন করা পার্মানেন্ট অ্যাকাউন্ট নম্বর। প্যান একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নম্বর। আয়কর রিটার্ন দাখিল করা ছাড়াও বহু কাজে প্যান ব্যবহার করতে হয়। প্যান দাখিল না-করলে, উত্সে দ্বিগুণ কর কাটা হতে পারে। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে প্যান আবশ্যক। নির্দিষ্ট ফর্মে আবেদন করে তা পেতে হয়। এটি একটি ফোটো আইডি কার্ড। ট্রেন বা বিমানে যাতায়াতের সময়ে গ্রহণযোগ্য পরিচয়পত্র।
|
বিমা |
• এনডাওমেন্ট পলিসি
নিয়মিত প্রিমিয়াম দিয়ে গেলে মেয়াদ শেষে বোনাস-সহ টাকা ফেরত পাওয়া যায়। সঙ্গে অবশ্যই থাকে ঝুঁকি থেকে সুরক্ষা। অর্থাত্ একই সঙ্গে বিনিয়োগ ও বিমার সুবিধা মেলে।
• টার্ম পলিসি
এটি শুধুমাত্র জীবনের ঝুঁকির বিরুদ্ধে বিমা। মৃত্যুর ক্ষেত্রে নমিনি টাকা পায়। তা না-হলে প্রিমিয়ামের টাকা কখনওই ফেরত পাওয়া যায় না। এই কারণে টার্ম পলিসির জনপ্রিয়তা কম।
• ইউলিপ
পুরো কথা ইউনিট লিঙ্কড ইনশিওরেন্স পলিসি। এর টাকা খাটানো হয় শেয়ার এবং বন্ডের বাজারে। ফলে, বাজারজনিত ঝুঁকি থাকে ইউলিপ পলিসিতে। বাজারের সুদিনে বেশ ভাল লাভ হতে পারে। দুর্দিনে লোকসানের সম্ভাবনাও তেমনই যথেষ্ট। বিমার থেকে লগ্নির জায়গা হিসেবেই বেশি জনপ্রিয়।
• পলিসি পেড-আপ
পলিসি নেওয়ার পর অন্তত তিন বছর চালিয়ে যদি আর টানা না-যায়, তবে প্রিমিয়াম বন্ধ করে পলিসি পেড আপ করানো যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষে পাওয়া যায় বোনাস-সহ পেড-আপ অঙ্ক।
• সারেন্ডার
এর মানে পলিসি চুক্তি বাতিল করা। চালানোর ইচ্ছা না-থাকলে ন্যূনতম মেয়াদের পর পলিসি ফেরত দিয়ে সারেন্ডার ভ্যালু পাওয়া যেতে পারে। পলিসি সারেন্ডার করার সঙ্গে সঙ্গে শেষ হয় ঝুঁকির বিরুদ্ধে বিমা।
• মানি ব্যাক পলিসি
এই পলিসির মেয়াদ চলাকালীন কয়েক বছর অন্তর অন্তর ফেরত দেওয়া হয় পলিসি মূল্যের একটি করে অংশ। এই কারণেই এই ধরনের পলিসির নাম মানি ব্যাক পলিসি।
|
বিবিধ |
• লিস্টিং
কোনও সংস্থার শেয়ার বা ডিবেঞ্চার বাজারে নথিবদ্ধ করার নাম লিস্টিং। যে-সব শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জে নথিবদ্ধ, তাদের বলে লিস্টেড শেয়ার।
• ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্ট
বৈদ্যুতিন পদ্ধতিতে শেয়ার-সহ বিভিন্ন ধরনের লগ্নিপত্র রাখার অ্যাকাউন্ট। ব্যাঙ্কে টাকা রাখলে যেমন পাস বই বা ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টে জমা টাকার অঙ্ক দেখা যায়, তেমনই ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্টে পাই জমা শেয়ারের বিবরণ। এটি ছাড়া নথিবদ্ধ শেয়ার কেনা-বেচা করা যায় না। ন্যাশনাল সিকিউরিটিজ ডিপোজিটরি লিমিটেড (এন এস ডি এল) এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি সার্ভিসেস লিমিটেড (সি ডি এস এল), এই দুই সংস্থায় ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্ট খোলা যায়।
|
লেখক ম্যাকলিওড রাসেল ইন্ডিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কোম্পানি সেক্রেটারি |
ভ্রম সংশোধন
গত সংখ্যায় পেড-আপ ভ্যালু নির্ধারণের ফর্মুলা হিসেবে লেখা হয়েছিল {(জমা দেওয়া প্রিমিয়ামের সংখ্যা/বাকি প্রিমিয়ামের সংখ্যা)X বিমার (কভারেজ) অঙ্ক}+জমা দেওয়া প্রিমিয়ামের বোনাস। এখানে বাকি প্রিমিয়ামের বদলে মোট প্রিমিয়ামের সংখ্যা পড়তে হবে। |
|
|
|
|
|
|