বিনা অনুমতিতে ঢুকে পড়ে জেলাশাসকের দফতরে বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল মাদ্রাসা স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সদস্যদের নামে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ জেলাশাসকের দফতরের নিরাপত্তাকর্মীদের ধাক্কা দিয়ে ওই সদস্যরা ভিতরে ঢুকে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখান বলে অভিযোগ। জেলাশাসকের ঘরে টেবিল চাপড়ানো, চেয়ার তুলে ফেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। জেলাশাসক পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায়কে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। যদিও ছাত্র সংগঠনটির তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। বিক্ষোভের আগে প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংগঠনের তরফে সভাও হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে দুই ডিএসপি-র নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জেলাশাসক বলেন, “ওই সংগঠন স্মারকলিপি দেওয়ার অনুমতি নেয়নি। নিরাপত্তারক্ষীদের ধাক্কা দিয়ে ওই সংগঠনের সদস্যরা আমার চেম্বারে ঢুকে পড়ে। টেবিল চাপড়ানো, চেয়ার তুলে ভাঙার চেষ্টা হয়েছে।” জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “জেলাশাসক মৌখিক ভাবে ঘটনাটি জানিয়েছেন। পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের বাইরে বার করে দিয়েছে। অভিযোগ অনুসারে আইন মাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সপ্তাহখানেক আগে হরিশ্চন্দ্রপুরের ডাঙিলা গ্রামে ১৩৯টি বাড়ি পুড়ে যায়। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাচ্ছেন বলে অভিযোগ। ওই ছাত্র সংগঠনটির জেলা সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ বদিরুদ্দিন বলেন, “নিজভূমি-নিজগৃহ প্রকল্পের ২ কোটি টাকা পড়ে রয়েছে বলে শুনেছি। ওই টাকায় হরিশ্চন্দ্রপুরের ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হোক। তবে অনুমতিটা নেওয়া হয়নি।” তাঁর দাবি, তারা জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করতে যাননি। তাঁর দফতর থেকে স্মারকলিপি নিতে অস্বীকার করা হয়। এর পরেই একাংশ সদস্য খেপে জেলাশাসকের চেম্বারে ঢুকে পড়েন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বিক্ষোভের ঘটনার সময়ে জেলাশাসক ভবনের চার তলায় ভূমি সংস্কার দফতরের সচিবের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন। খবর পেয়ে তিনি চেম্বারে আসেন। বিক্ষোভকারীরা তাঁর চেম্বারে ছিলেন। জেলাশাসক তাঁদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। |