চিকিৎসার ত্রুটিতে বন্দি মৃত্যুর নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
চিকিৎসার গাফিলতিতে বন্দির মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করল তাঁর পরিবার। সোমবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সনাতন সেন নামে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক বন্দির মৃত্যু হয়। বাড়ি বাঁকুড়ার রায়পুরে কুচাইপাল এলাকায়। ২০১১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ছিলেন। একটি খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন সনাতন।জেল সূত্রে খবর, এই বন্দি রক্তাল্পতায় ভুগছিলেন। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। শারীরিক পরিস্থিতি দেখে শনিবার মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। সোমবার ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। জেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সময় মতো পর্যাপ্ত রক্ত না পেয়ে এই বন্দির মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের লোকেদের অবশ্য দাবি, চিকিৎসায় অবহেলা হয়েছে। মঙ্গলবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে মৃতদেহের ময়না-তদন্ত হয়। এসেছিলেন ওই বন্দির ছেলে রাখহরি সেন, ভাইপো দিলীপকুমার সেন প্রমুখ। দিলীপবাবু বলেন, “সঠিক চিকিৎসা হলে এ ভাবে মৃত্যু হত না। আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও অভিযোগ জানিয়েছি।” পরিবারের বক্তব্য, সোমবার ভোরে মৃত্যু হয়েছিল। মঙ্গলবার ময়না-দন্ত কেন? জেলেরই এক সূত্রে খবর, সোমবার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মেলেনি। তাই ওই দিন ময়না-তদন্ত করা যায়নি। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে হাসপাতাল সুপার যুগল করের বক্তব্য, “এমন অভিযোগ ঠিক নয়। লিখিত অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখব।”
|
ভ্রাম্যমাণ চক্ষু নিরাময় কেন্দ্র চালু
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে চক্ষু চিকিৎসার পরিষেবা পৌঁছে দিতে মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ নেত্র নিরাময় কেন্দ্রের উদ্বোধন হল হলদিয়ার চৈতন্যপুরে বিবেকানন্দ মিশন আশ্রমে। জাতীয় গ্রামীন স্বাস্থ্য মিশন এবং পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের যৌথ অর্থানুকুল্যে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে এই প্রকল্পে। এ দিন ভ্রাম্যমাণ নেত্র নিরাময় কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। উপস্থিত ছিলেন মহকুমাশাসক শঙ্কর নস্কর, মিশনের মহারাজ স্বামী বিশ্বনাথানন্দ, নেত্র নিরাময় কেন্দ্রের মুখ্য চিকিসক অসীম শীল প্রমুখ।
|
নির্যাতনে নষ্ট গর্ভস্থ ভ্রূণ
সংবাদসংস্থা • নাসিক |
অনেক চেষ্টার পরও গর্ভের সন্তানটিকে পৃথিবীর আলো দেখাতে পারলেন না মা। শ্বশুরবাড়ির লোকেদের অত্যাচারে বলি হতে হল গর্ভস্থ ভ্রূণটিকে। সাধুবাবার কথা শুনে অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূর শারীরিক অত্যাচার শুরু করে শ্বাশুড়ি। তখনই পেটে চোট লেগে নষ্ট হয়ে যায় গর্ভস্থ ভ্রূণটি। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের মাহরুলে। পুলিশ জানিয়েছে, ২০১২ সালের জুন মাসে বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ২০ বছরের সুবর্ণা গাইকোয়াডের উপর শারীরিক এবং মানসিক ভাবে অত্যাচার করতেন। দু’মাস আগে সুবর্ণার শাশুড়ি যখন জানতে পারেন সুবর্ণা অন্তঃসত্ত্বা তখন তাঁকে এক সাধুর কাছে নিয়ে যান। শ্যামবাবা শিন্দে নামে ওই সাধু বলেন সুবর্ণার কন্যা সন্তান হবে। এ কথা শোনার পর থেকেই সুবর্ণাকে গর্ভপাত করাতে বলেন তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি। কিন্তু সুবর্ণা রাজি না হওয়ায় মারধর শুরু করেন। তখনই সুবর্ণার ভ্রূণটি নষ্ট হয়ে যায়।
|
ফের বড় অগ্নিকান্ডের হাত থেকে রক্ষা পেল কোচবিহার এমজেএন হাসপাতাল। মঙ্গলবার এমজেএন হাসপাতালের বর্হিবিভাগে ব্ল্যাড ব্যাঙ্কে একটি সুইচ বোর্ডে আগুন ধরে যায়। হাসপাতাল কর্মীরা তা দেখে দ্রুত অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রের সাহায্যে আগুন নেভানোর কাজ শুরি করেন। প্রায় ১৫ মিনিট মেন সুইচ বন্ধ করে মেরামতের কাজকর্ম করায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সুপার জয়দেব বর্মন বলেন, “পুরানো তার থেকে সমস্যা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে নজরে আসায় ব্যবস্থা নেওয়া গিয়েছে। না হলে বড় ধরনের বিপদ হতে পারত। |