নার্সিংহোমের মধ্যে এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জে। সোমবার সকালে ওই নার্সিংহোমের এক কর্মীকে সেই অভিযোগে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
সুতির নাজিরপুর থেকে ওই মহিলা এই দিন তাঁর স্বামীর সঙ্গে ওই নার্সিংহোমে পরীক্ষা করাতে এসেছিলেন। অভিযোগ, পরীক্ষার নামে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ন কবীর বলেন, “স্বামীকে ঘরের বাইরে দাঁড় করিয়ে ওই মহিলা পরীক্ষা করাতে গেলে ওই মহিলার উপর যৌন নির্যাতন চালান নাসিংহোমের এক কর্মী ওয়াসিম শেখ।” ওই মহিলা জানান, সন্তান না হওয়ায় স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি ওই নার্সিংহোমে পরীক্ষা করাতে গিয়েছিলেন। সেই সময়েই তার উপরে নির্যাতন করা হয়েছে। পরে ওই মহিলা বাইরে এসে স্বামীকে সব ঘটনা জানান। ওই দম্পতি তারপরে রঘুনাথগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
ওই নার্সিংহোমটির মালিক স্থানীয় সিপিএম নেতা তাপস ঘোষ। তিনি রঘুনাথগঞ্জে সিপিএমের ১৯ নম্বর শাখা কমিটির সদস্য। ওই শাখার সম্পাদকও ছিলেন এক সময়ে। তাঁর নার্সিংহোমে কোনও মহিলা কর্মী নেই। তা ছাড়া, অভিযুক্ত ওয়াসিমেরও প্যাথোলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ডিগ্রি নেই। তাপসবাবুর বক্তব্য, “ওই কর্মী প্রধানত রক্ত সংগ্রহের কাজ করেন। প্যাথোলজিক্যাল পরীক্ষা করতে পারেন এমন মহিলা কর্মী সহজে পাওয়া যায় না বলে পুরুষকর্মীদেরই সেই কাজ করতে হয়।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অজয় চক্রবর্তী অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন এই ঘটনায় স্বাস্থ্য দফতর কড়া পদক্ষেপ করবে। তাঁর কথায়, “নার্সিংহোম ও প্যাথোলজিক্যাল পরীক্ষাকেন্দ্রে মহিলাদের পরীক্ষার সময়ে মহিলা কর্মী থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কেন তা ছিল না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পুলিশও তাপসবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। স্থানীয় কংগ্রেস কাউন্সিলর বিকাশ নন্দ বলেন, “ওই নার্সিংহোমে সরকারি বিমাভুক্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। টনার পরে সেটিকে কালো তালিকাভুক্ত করার দাবি তুলব।” |