আগুনে পুড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কোচবিহার জেলা সদর এমজেএন হাসপাতালের কম্পিউটার পরিষেবা। সোমবার সকালে হাসপাতালের অফিস রুমে আগুন লাগে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ছাই হয়ে যায় কমপিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। আগুনের জেরে শিশু বিভাগ, সাধারণ বিভাগে চিকিৎসাধীন রোগী ও পরিজনদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই হুড়োহুড়ি করে বাইরেও বার হয়ে আসেন। দমকলের দুটি ইঞ্জিন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হাসপাতালের সুপার জয়দেব বর্মন বলেন, “হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের সাহায্যে প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর কাজ করা হয়। পরে দমকল কর্মীদের তৎপরতায় বড়মাপের বিপদ এড়ানো গিয়েছে। তবে কম্পিউটার পরিষেবা ব্যহত হয়ে পড়েছে।” সুপার জানান, বর্হিবিভাগে আসা রোগীদের হাতে লেখা টিকিট দিতে হচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাকে দ্রুত কম্পিউটার মেরামত করার জন্য বলা হয়েছে। কোচবিহার দমকল কেন্দ্রের আধিকারিক মলয় ঘোষ বলেন, “বৈদ্যুতিক পাখার যন্ত্রাংশ পুড়ে আগুন লেগে যাওয়ায় ঘটনাটি হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।”
সোমবার সকাল ছয়টা নাগাদ হাসপাতাল ভবনের নীচের তলার অফিস রুম থেকে ধোঁয়া বার হতে দেখেন কয়েক জন কর্মী। ধোঁয়া দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে রোগী এবং তাঁদের পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। দমকল আসার আগেই কম্পিউটারের যন্ত্রপাতি পুড়ে যায়। ঘটনার জেরে হাসপাতালের বৈদ্যুতিক ‘ওয়্যারিং’ নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে স্বাস্থ্য কর্তা থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকদের মধ্যে। এ দিন রোগীর পরিজনেরা বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, এমজেএন হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ থেকে বর্হিবিভাগ সর্বত্র ওয়্যারিং-এর পরিকাঠামো যা রয়েছে, সে সব বহু বছরের পুরানো। এতে যে কোনও সময় বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে।
হাসপাতালের সুপার জয়দেব বর্মন বলেন, “পুরনো ওয়্যারিং থেকে বিপত্তি হতে পারে, এ আশঙ্কার কথা আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এ ছাড়া, পূর্ত দফতর বিষয়টি দেখছে।” জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেছেন, “হাসপাতালে ওয়্যারিং নতুন করার জন্য প্রচুর টাকা লাগবে। আপাতত যে কাজ জরুরি ভিত্তিতে করা দরকার তা দেখতে পূর্ত দফতরকে বলা হয়েছে। |