হাবরা শহর জুড়ে একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন হল নববর্ষের দিনে। সোমবার বিকেলে হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিজের বিধায়ক তহবিলের ১২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সদ্যোজাত শিশুদের জন্য সিক নিওনেটাল স্টেবল লাইগেশান ইউনিট উদ্বোধন করলেন স্থানীয় বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। পাশাপাশি হাসপাতাল চত্বরে একটি ক্যান্টিনেরও উদ্বোধন করেন তিনি। ক্যান্টিনটি সংখ্যালঘু স্বনির্ভর মহিলা গোষ্ঠীর দ্বারা পরিচালিত হবে বলে জানান তিনি। হাসপাতালে পরিকাঠামোগত কি কি সমস্যা আছে তা নিয়ে হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে আলোচনায় বসেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার সাত্যকি হালদার জানান, একটি ডক্টরস কোয়ার্টার, একজন অর্থোপেডিক এবং একজন সার্জেনের প্রয়োজনের কথাও বলা হয়েছে জ্যোতিপ্রিয়বাবুকে।
প্রসঙ্গত, হাবরা হাসপাতালে বেহাল চিকিত্সা পরিকাঠামো নিয়ে হাবরাবাসীর দীর্ঘদিনের অভিযোগ ও ক্ষোভ ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে হাবরা হাসপাতালের পরিকাঠামোর অনেকটাই উন্নতি করা হয়েছে। মাসখানেক আগেই হাসপাতালে এসেছেন মেডিসিনের চিকিত্সক। দীর্ঘদিন ধরে এই পদটি খালি ছিল। ফলে কলকাতার হাসপাতালে রেফার করে দেওয়ার প্রবণতাও কমেছে। জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “ধীরে ধীরে পরিকাঠামোর দিক থেকে একটি আধুনিক হাসপাতাল বানানোর পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি। রোগী, রোগীর আত্মীয় এবং চিকিত্সকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে মঙ্গলবার থেকে হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ ক্যাম্প বসানো হচ্ছে।”
হাবরা হাসপাতাল চত্বরেই রয়েছে একটি গরুর খাটাল। যা নিয়ে বাসিন্দাদের ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। বিধায়ক জানান, এ বিষয়ে হাইকোর্টে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। নির্দেশ পেলেই সেটি তুলে দেওয়া হবে।”
হাবরা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার সংযোগস্থল, হাবরা সুপার মার্কেট এবং হাবরা বাজারে বিধায়ক তহবিলের অর্থে ২১টি টাওয়ার লাইট বসানো হয়েছে। এ দিন সেগুলি উদ্বোধন করেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের অবসর সময়ে কাটানোর জন্যে বিধায়ক তহবিলের টাকায় প্রস্তাবিত ‘অবকাশ ভবনের’ শিলান্যাসও করেন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। |