শিলিগুড়ি কাণ্ডে অভিযোগ
অসুস্থ বাম কর্মীদের নিয়ে রাজনৈতিক চাপ
দুই দলের সংঘর্ষের পরে ধৃত সিপিএম কর্মীদের মধ্যে যাঁরা অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন, তাঁদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চিকিৎসকদের উপরে ‘রাজনৈতিক চাপ’ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করল সিপিএম। সোমবার সিপিএমের দার্জিলিং জেলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জীবেশ সরকার পুলিশ-প্রশাসনের কাছে ওই অভিযোগ জানিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন।
জীবেশ জানান, সিপিএমের যে ৪৬ জন জেল হেফাজতে রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ৩ জন অসুস্থ হয়ে পড়ায় বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর অভিযোগ, “শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা বিধানসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য ওই তিন জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে জেলে পাঠানোর জন্য চাপ দেন। সে জন্য সন্তোষ সাহানি বলে এক সিপিএম কর্মীকে রবিবার হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে জেলে পাঠানো হয়। সোমবার সকালে জেলে সন্তোষ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।” গোটা ঘটনার তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছে দার্জিলিং জেলা সিপিএম।
যদিও শিলিগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক রুদ্রনাথবাবুর দাবি, “জীবেশবাবুরা ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন।” তাঁর কথায়, “আমি নিজেও চিকিৎসক। কোনও রোগী সুস্থ না হলে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিতে কখনও বলতে পারব না। যাঁরা এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন, তাঁদের সংযত হতে অনুরোধ করছি।” জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সিপিএমের তরফে লিখিত ও স্পষ্ট অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখা হবে।
শিলিগুড়ি হাসপাতালে যাঁর অধীনে সন্তোষবাবু চিকিৎসাধীন ছিলেন, সেই কৃষ্ণেন্দু দে-রও দাবি, কোনও চাপের মুখে পড়ার কথা ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, “সন্তোষবাবু টেনশনের কারণে অসুস্থ বোধ করেন। অন্য কোনও গুরুতর রোগ রয়েছে বলে বাইরে থেকে বোঝা যায়নি। তবুও মেডিক্যাল টিম গড়ার জন্য বলেছিলাম। কেন তা হয়নি, বলতে পারব না। তবে সন্তোষবাবু সুস্থ হয়ে ওঠায় ছুটি দিয়েছিলাম।” তা হলে ছুটি পাওয়ার পর দিনই সন্তোষবাবুকে কেন মেডিক্যালে পাঠালেন জেল কর্তৃপক্ষ? জেলা সুপার থুপদেন ভুটিয়া জানান, ছুটি পেয়ে জেলে পৌঁছনোর কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই ওই বন্দি মাথা ঘুরছে বলে জানান। তাই তাঁকে প্রথমে জেল হাসপাতালে রাখা হয়। পরে মেডিক্যালে পাঠানো হয়। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার সব্যসাচী দাস জানিয়েছেন, ওই রোগীর (সন্তোষ) মাথার সিটি স্ক্যান করে দেখা হবে।
ধৃত সন্তোষ সূর্য সেন কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সামনেই তাঁর পরীক্ষা। সন্তোষের দাদা দীপক বলেন, “মেডিক্যাল কলেজেও ভাইকে প্রথমে শয্যা দেওয়া হয়নি। মেঝেয় রাখা হয়েছিল।” হাসপাতাল সুপারের ব্যাখ্যা, “জায়গা না থাকায় মেঝেতে জায়গা দেওয়া হয়েছিল। শয্যা ফাঁকা হলে তাঁকে সেখানে রাখার ব্যবস্থা হয়েছে।”
ধৃত অমিত দে-র মায়ের হৃদরোগে মৃত্যু নিয়ে তৃণমূল-সিপিএমের মধ্যে অভিযোগের চাপানউতোরও অব্যাহত। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেবের দাবি, “অশোকবাবুদের জন্যই অমিত সহ অনেকেই জেলে রয়েছেন।” মন্ত্রীর অভিযোগ, অশোকবাবুরা প্রচারের আলোয় থাকতেই ইচ্ছাকৃত ভাবে নানা কাজ করে চলেছেন।
অশোকবাবু অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁরা প্রচারের আলোয় নন, মানুষের মনে থাকতে চান।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.