সন্ধেয় টিভিতে পুণে-র ম্যাচটা দেখতে দেখতে ওদের হেড কোচ অ্যালান ডোনাল্ডকে একটা প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করছিল।
তুমি এত বড় বোলার ছিলে। ক্রিকেটটা এত ভাল বোঝ। তবু কোন যুক্তিতে এত দিন স্টিভ স্মিথকে বসিয়ে রেখেছিলে?
দেখুন, ক্রিকেটটা রকেট সায়েন্স নয়। আইপিএল ফাইভের রেকর্ডবুক দেখলেই বোঝা যাবে, পুণেকে একা কত বার টেনেছে স্মিথ। অথচ এ বার প্রথম চারটে ম্যাচে স্মিথ ছিল না! সোমবার নিশ্চয়ই চেন্নাই সুপার কিংসের ব্রাভো-কে রিভার্স সুইপে মারা স্মিথের (১৬ বলে ৩৯ ন:আ:, তিনটে ছক্কা সমেত) দুর্ধর্ষ ছয়টা দেখল ডোনাল্ড। তিনটে ক্যাচও ধরল স্মিথ। জানার ইচ্ছে আছে, এর পর ওকে নিয়ে কী ঠিক করে টিম ম্যানেজমেন্ট।
আসলে এ দিন পুণে-র ক্ষেত্রে সবই ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছে। এমন নয় যে, স্ট্র্যাটেজি করে ওরা ধোনিদের চেন্নাইয়ে হারাল। বরং আমি বলব, জয়ললিতার ফতোয়ায় পুণে অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউজের চিপকে নামতে না পারা, ওর বদলি হিসাবে স্মিথের খেলা, রস টেলরের দুর্ধর্ষ অধিনায়কত্ব, স্মিথের সঙ্গে অ্যারন ফিঞ্চের (৪৫ বলে ৬৭) দুর্দান্ত ইনিংস, মিচেল মার্শের ভাল পারফরম্যান্স আদতে পুণের শাপে বর হয়ে দাঁড়াল। যুবরাজ ফিট না থাকায় এ দিন খেলেনি। এও বোঝা গেল অতিরিক্ত যুবরাজ নির্ভরতাও কেটে যাচ্ছে দলের। |
ম্যাথেউজ অধিনায়ক হিসেবে প্রথম চারটে ম্যাচে কিছুই করতে পারেনি। বরং উল্টোপাল্টা সিদ্ধান্ত নিয়ে ডুবিয়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে অশোক দিন্দা বেধড়ক মার খাচ্ছে দেখেও ওকে দিয়েই বল করিয়েছে। টেলর বুদ্ধি করে বোলারদের ব্যবহার করল।
আর টেলরকে দেখে মুগ্ধ হলে, ধোনির ক্যাপ্টেন্সি দেখে আশ্চর্য হলাম। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ম্যাচে ওকে যে রকম চার্জড দেখাচ্ছিল, এ দিন সেটা ছিল না। বুঝলাম না, হঠাৎ করে মাইক হাসিকে বসালো কেন? আরও বুঝলাম না, আস্কিং রেট দশ-এগারোয় উঠে যাচ্ছে দেখেও কেন জাডেজার পরে ধোনি নিজে নামল? কোনও উইকেটেই ১৬০ তাড়া করা সহজ নয়। সেখানে চার নম্বরে ব্রাভো নইলে ধোনি-র নিজের নামা উচিত ছিল। আমার মনে হয়, ওরা পুণে-কে হালকা ভাবে নিয়ে ফেলেছিল। তবে চেন্নাইয়ের যা টিম, সেমিফাইনালে যাবেই। আর পুণে? ক্ষমতা, প্রতিভা, সবই আছে। শুধু ম্যানেজমেন্ট খেয়ালখুশি মতো না চললে, আইপিএলের অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিদের কপালে কিন্তু দুঃখ আছে।
|