একটা টিম কেমন, সেটা শুধু মাঠের পারফরম্যান্স দিয়েই বিচার করা ঠিক নয়। রিজার্ভ বেঞ্চটা কতটা শক্তিশালী, সেটাও হিসাবের মধ্যে রাখতে হয়। আমি যখন আমাদের ডাগ আউটের দিকে তাকিয়ে দেখি ব্রেন্ডন ম্যাকালাম আর ব্রেট লি-র মতো দু’জন ক্রিকেটার বসে আছে, তখনই বুঝে যাই টুর্নামেন্ট যত এগোবে আমাদের হারানো তত কঠিন হয়ে যাবে।
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে রবিবার আমাদের সব কিছুই ঠিকঠাক হয়ে গেল। টিম বাছাই আর ট্যাকটিক্স পুরোপুরি খেটে গেল। সাচি সেনানায়কের কাছ থেকে একটা দুর্দান্ত স্পিন বোলিংয়ের স্পেল পাওয়া গেল। আর চার নম্বরে ব্যাট করার চ্যালেঞ্জটা ওয়েন মর্গ্যান কী ভাবে কাজে লাগাল, সেটা সবাই দেখেছেন। |
গত বছর মর্গ্যান বেশির ভাগ ম্যাচেই প্রথম এগারোর বাইরে ছিল। যেটা কোচের কাছে খুব চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছিল। আসলে বিশ্বের অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হল মর্গ্যান। কিন্তু গত বার আমরা ধারাবাহিক ভাবে জিতে যাওয়ায় মর্গ্যানের সামনে সেই সুযোগটা আর আসেনি। তা ছাড়া ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবাই প্রায় ফিট এবং ফর্মে থাকায় প্রথম এগারোয় বিশেষ রদ বদলও হয়নি।
মর্গ্যনের মানসিকতাটা দুর্দান্ত। রিজার্ভে বসে থেকে থেকে যারা হতাশ হয়ে পড়ে, তারা কিন্তু এই ছেলেটাকে দেখে শিখতে পারে। যত বেশি ওকে বাইরে বসে থাকতে হয়েছে, তত বেশি করে ট্রেনিং করেছে। মর্গ্যান বিশ্বাস করত, সুযোগ ঠিকই আসবে এবং সেই সুযোগটা কাজে লাগানোর জন্য তৈরি থাকতে হবে। গত বছর সুযোগটা আসেনি। এ বার এল এবং মর্গ্যান সেটা দুর্দান্ত কাজে লাগাল।
এ বার অন্য একটা প্রসঙ্গে আসি। কুড়ি বছর ধরে বলে আসছি, আমি একজন ব্যাটিং অলরাউন্ডার। তবে তার মানে এই নয় যে আমি বোলিংটা সিরিয়াসলি নিই না। টি টোয়েন্টির বোলিংটা একটু ট্যাকটিক্যালি করতে হয়। এই ব্যাপারটা আমি খুব উপভোগ করি। নিজে এক জন ব্যাটসম্যান হওয়ার ফলে ব্যাটসম্যানরা কী করতে চায়, সেটা বুঝতে পারি। আর সেই মতো একটা প্ল্যান করি। প্ল্যানটা খেটে গেলে বোলার হিসাবে আমিও ম্যাচে প্রভাব ফেলতে পারি।
আজ, মঙ্গলবার আমরা যদি কিংস ইলেভেন পঞ্জাবকে হারিয়ে দিতে পারি, তা হলে আবার ঠিক লাইনে চলে আসব। প্রথম চারটে ম্যাচের পর ৫০-৫০ রেকর্ড মোটেই খারাপ নয়। তবে গত বছর আমরা বেশিরভাগ সময়ই লিগ টেবিলের শীর্ষে ছিলাম। সেই জায়গাতেই এ বার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উঠতে চাই। |