পর পর দু’দিনে ঝাড়গ্রাম মিনি চিড়িয়াখানায় দু’টি চিতল হরিণের মৃত্যু হল। রবিবার দুপুরে একটি পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ হরিণের মৃত্যু হয়। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে সোমবার দুপুরে ফের একটি পূর্ণ বয়স্ক পুরুষ হরিণ মারা যায়। প্রাণী চিকিৎসকেরা হরিণ দু’টির ময়না-তদন্ত করার পর দেহ দু’টি মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়। মৃত্যুর নিশ্চিত কারণ জানার জন্য মৃত হরিণ দু’টির ভিসেরা সংগ্রহ করে কলকাতার বেলগাছিয়ায় অবস্থিত ‘ইনস্টিটিউট অফ অ্যানিম্যাল হেলথ অ্যাণ্ড ভেটের্নারি বায়োলজিক্যাল’-এ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। |
ডিয়ার পার্কে হরিণের ফাইল চিত্র |
ঝাড়গ্রামের অন্যতম পর্যটনস্থল বন দফতরের মিনি চিড়িয়াখানাটি ‘ডিয়ার পার্ক’ নামে বেশি পরিচিত। ঝাড়গ্রাম শহরের অদূরে ধবনী এলাকায় ৩৪ হেক্টর এলাকা জুড়ে এই চিড়িয়াখানা। বিশাল ঘেরাটোপে (এনক্লোজার) রয়েছে ৭৮টি চিতল হরিণ ও একটি স্বর্ণ মৃগ। এছাড়াও রয়েছে হায়না, ভালুক, ফিসিং ক্যাট, জংলি বিড়াল, বাঁদর, হনুমান, সজারু, কুমির, শকুন-সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও সাপ। এর আগে ২০১১ সালে চিড়িয়াখানায় তিনটি হরিণ ও একটি বাঁদরের মৃত্যু হয়েছিল। সে সময় ভিসেরা রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ‘অ্যাসিড ফাস্ট ব্যাসিলি’কে (যক্ষ্মা) চিহ্নিত করেছিল ‘ইনস্টিটিউট অফ অ্যানিম্যাল হেলথ অ্যাণ্ড ভেটের্নারি বায়োলজিক্যাল’ কর্তৃপক্ষ। ঝাড়গ্রামের রেঞ্জ অফিসার পার্থপ্রতিম ত্রিপাঠী এবং ঝাড়গ্রামের ডিএফও অশোকপ্রতাপ সিংহ সোমবার ঝাড়গ্রামের বাইরে থাকায় তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ঝাড়গ্রামের রাজ্য প্রাণী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রাণী চিকিৎসক অরুণাংশু প্রতিহার বলেন, “কয়েকদিন ধরে পালের দু’টি হরিণ অসুস্থ ছিল। খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল। হরিণ দু’টির শ্বাসকষ্টের সমস্যাও ছিল। এই ঘটনার পর পালের বাকি হরিণগুলির উপর সতর্ক নজর রাখা হচ্ছে।” |